ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ডবলমুরিং থানার ক্যাশিয়ার !
র্যাবের মামলায় ২ ভাই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। ১ ভাই নানান অপরাধে জড়িত অন্য ভাই খোদ পুলিশেরই ক্যাশিয়ার হয়ে ডবলমুরিং থানায় জুয়া, মাদকসহ ভয়ংকর অসামাজিক ও সমাজ বিধ্বংসী কাজে জড়িত।এসব কাজে স্বয়ং পুলিশের নাম ও দাপট ব্যবহার করে থাকে ক্যাশিয়ার পরিচয়দারী ওই ব্যাক্তি।ওই ব্যাক্তি বর্তমান ওসির একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে অপরাধীদের আশ্রয় দিয়ে বিপুল অবৈধ টাকা কামাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২০ সালে ২৪ জুলাই গভীর রাতে চান্দগাঁও থানার ক্যাশিয়ার পরিচয়ে বহদ্দারহাট ওভারব্রীজের গোড়া থেকে বাঁশ বোঝাই ট্রাক দস্তুরমতো পুলিশের ন্যায় অভিনয় করে টর্স লাইটের ইশারায় ওই ট্রাকটি জনৈক আলমগীর হোসেন আটক করে।এরপর চাঁদা দাবী করে চান্দগাঁও থানা পুলিশের নামে।ট্রাকের চালক ও মালিক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি হলে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এখানে। এই সময় টহলরত র্য্যারের চোখে পড়ে এই দৃশ্য ।র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে আসল তথ্য।তখনই রাঙ্গুনিয়ার পূর্ব সন্ধীপপাড়ার মৃত আবদুল কাদেরের পুত্র বেলাল হোসেন (৪২) চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন।মামলা নং ৩৬ তারিখ ২৫.০৭.২২ ইং।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, পলাতক আসামী জাহাঙ্গীর হোসেনের ছোট ভাই আলমগীর হোসেন।এরা বি-বাড়িয়ার নবী নগর থানার কেরাতলী গ্রামের আবদুল মালেক সদ্দারের বাড়ীর বজলুর রহমানের ছেলে।অপর আসামী বাঁশখালী থানার পাইরাং গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র আজগর হোসেন। বিতর্কিত এই পলাতক আসামী জাহাঙ্গীরই এখন ডবলমুরিং থানার ক্যাশিয়ার।
বিভিন্ন ভুক্তভোগী ও সাধারণ নিরহ মানুষের তথ্যমতে সে নিয়মিত দেওয়ানহাট ওভারব্রীজের নিচে জুয়ার আসর বসায়। প্রতিদিন ওখানে লাখ লাখ টাকার লেনদেন হয়।দেয়ানহাটের মোড়ে বেঁচে মাদক।আগ্রাবাদের হাড্ডি কোম্পানীর সংনিকটে পান্নাওয়ালা পাড়ায় ইসমাইলের সহযোগিতায় চালাচ্ছে জুয়ার আসর।এই রকম জুয়া ও মাদকের আখড়া জাহাঙ্গির ও তার ভাই আলমগীর পরিচালনা আসছে ।সবই চালাচ্ছে পুলিশের দোহাই দিয়ে ।পলাতক আসামী হয়েও পুলিশের সাথে চলাফেরা এমন কি চাঁদাবাজী ! ভাবতেও গা শিহরে উঠে। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ভাবমুর্তি ধুলিয় মিশিয়ে দিচ্ছে ওরা।
এই বিষয়ে ডবলমুরিং থানার কর্মরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন জাহাঙ্গীর নামক কাউকে আমি চিনি না।