২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:৪৫/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জে হাসপাতাল কর্মচারীর উপর হামলার ঘটনায় আটককৃত সন্ত্রাসী মালেককে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড়

     

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্সের উপর হামলার ঘটনায় আটককৃত সন্ত্রাসী আব্দুল মালেককে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানান,১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে হাছননগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসী আব্দুল মালেক, তার ভাই ছালেক ও মুরাদগং স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বুরিস্তল গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুজ জহুরের ছেলে মহিবুর রহমানের উপর হামলা করে। সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মহিবুর রহমানকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে নতুন হাছননগর নিবাসী মৃত আব্দুল আহাদের পুত্র রাসেল মিয়া (২৫)। পরে ঐ ৩ সন্ত্রাসী গ্যাসের পাইপ,লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রাসেলের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে রাসেল ও তার মাতা হাজেরা বেগমকে আহত করে। আহতরা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করলে ঐ সন্ত্রাসীরা রাসেল ও তার মাকে চিকিৎসাসেবা গ্রহন থেকে বঞ্চিত রাখার লক্ষ্যে তাদের পথরোধ করে দাড়ায়। একইদিন বেলা সোয়া ১টায় ৩ সন্ত্রাসী জেলা সদর হাসপাতালে হামলা চালিয়ে জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সজীব (৩৭) কে বেদম মারপিঠক্রমে আহত করে। সংবাদ পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই ওয়াসিম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে সন্ত্রাসী আব্দুল মালেককে আটক করেন। ঘটনার ব্যাপারে হাসপাতালের কর্মচারী সজীব বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৫ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। একাধিক হামলার ঘটনায় জড়িত উক্ত ৩ সন্ত্রাসী সহোদর পশ্চিম সুলতানপুর খলিফাহাটি নিবাসী আকিল মিয়ার ছেলে। তাদের মধ্যে মালেক দীর্ঘদিন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে সরকারী কলেজ এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,আমাদের জখমী কর্মচারী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। পুলিশ এক আসামীকেও আটকও করেন। পরে রাতের বেলা পুলিশ তাদেরকে কেন এবং কার কথায় ছেড়ে দিল বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক বলে মনে হয়েছে। আমরা আমাদের ক্ষোভের কথা ওসি সাহেবকে জানিয়েছি। সুনামঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল্লাহর মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply