২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৯:২৩/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ

তিতাসের গ্যাস থেকেই মগবাজারে বিস্ফোরণ

     

সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও রাজধানীর মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় তিনতলা ভবনটিতে (বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত) গ্যাসের সরবরাহ স্থায়ীভাবে বন্ধ করেনি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। অবৈধ সেই সংযোগ থেকে গ্যাস ব্যবহার করা হতো ভবনে। তা ছাড়া সিটি করপোরেশনের পয়োনিষ্কাশন লাইনের কাজ করার সময় গ্যাসের সংযোগের পাইপলাইনের ছিদ্র (লিকেজ) থেকে গ্যাস বের হয়ে ভবনের নিচতলার শরমা হাউসের ভেতরে জমা হয়। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে।রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন ও ট্রান্সমিশন কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রায় একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন বিস্ফোরণের পর উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ও তদন্ত কমিটিতে কাজ করা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। বিস্ফোরক পরিদপ্তর ও পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাও বলেছেন, মগবাজারের ওই ভবনে গ্যাসের পাইপলাইন থাকার বিষয়টি তিতাসের তদন্তেও এসেছে। আর অবৈধ সংযোগ থেকে একটা সময় গ্যাস ব্যবহারের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন ভবনের মালিকও।তিতাসের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ভবনের সামনের রাস্তার পাশে তিতাস গ্যাসের একটি রাইজার (গ্যাস-সংযোগের পয়েন্ট) ছিল। ৭-৮ বছর আগে ওই ভবনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। অস্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হলেও ওই পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি। গ্যাস বিপণন নীতিমালা অনুসারে, এটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার কথা।জানা গেছে, বিচ্ছিন্ন সংযোগটি থেকে অবৈধ উপায়ে গ্যাস ব্যবহার করতে রাইজারটি সরিয়ে ভবনের সিঁড়ির পাশে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর সরেজমিনে সেখানে রাইজারের অবস্থান দেখা গেছে। ঘটনার পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ভবনের মালিক মসিউর রহমানকে গ্যাসের সংযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তখন ভবনমালিক বলেছিলেন, কয়েক বছর আগে গ্যাসের লাইনটি তাঁরা ব্যবহার করতেন। পরে গ্যাস-সংযোগ তাঁরা বিচ্ছিন্ন করে দেন।তিতাসের কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি ভবনের সামনের রাস্তায় পয়োনিষ্কাশন লাইনের কাজ শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এতে খোঁড়াখুঁড়ির সময় তিতাসের পাইপলাইন ছিদ্র হয়। বিষয়টি তিতাসের নজরে না এনে পাইপলাইনের ওপর মাটি চাপা দিয়ে দেন কর্মরত শ্রমিকেরা। এরপর ছিদ্র থেকে গ্যাস বের হয়ে পয়োনিষ্কাশন লাইনের ভেতর দিয়ে শরমা হাউসের নিচে পৌঁছায়। শরমা হাউসের রান্না করার স্থানেই পয়োনিষ্কাশন লাইনের ঢাকনা আছে। এটি দিয়ে ও রান্নায় ব্যবহৃত পানির লাইন দিয়ে গ্যাস শরমা হাউসের ভেতরে গিয়ে জমা হয়। আর আগুনের সংস্পর্শে এসে ঘটে বিস্ফোরণ।সবটুকু জানতে ক্লিক করুন

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply