২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:৩৪/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ

আড়িপাতা বন্ধে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

     

মানুষের ব্যক্তিগত ফোনালাপ রেকর্ড ও ফাঁস বেআইনি হলেও এটি বন্ধ হচ্ছে না। বৈধ যোগাযোগের গোপনীয়তা সংরক্ষণ সংবিধানবলে নাগরিকের মৌলিক অধিকার হলেও অহরহ ফাঁস হচ্ছে ফোনালাপ। এতে ব্যক্তি ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কারোরই গোপনীয়তার অধিকার রক্ষিত হচ্ছে না।

সংবিধান, আইন ও বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ফ্রি-স্টাইলে ফোনালাপ রেকর্ড ও ফাঁসের এই বেআইনি কাজের প্রতিকার চেয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী—সে বিষয়ে জানতে চেয়ে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে এই নোটিশ দিয়েছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, গত আট বছরে অন্তত ১৬টি ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সর্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর সব আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। এরই ধারাবাহিকতায় সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সংবিধানের তৃতীয়ভাগে উল্লিখিত মৌলিক অধিকারসমূহের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ অন্যতম।

এছাড়া বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩০(চ) ধারা অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষা নিশ্চিত করা বিটিআরসির দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, এই ধরনের ফোনালাপ রেকর্ড ও ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিটিআরসি ব্যক্তির গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এই ফোনালাপ রেকর্ড ও ফাঁস প্রতিরোধে বিটিআরসি কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নোটিশপ্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। যদি এটা না জানানো হয় তাহলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ও ভারত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে গণ্য করেছে। এই অধিকার লঙ্ঘনকে বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছে। জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ঘোষণার ১৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নিজস্ব গোপনীয়তা, পরিবার, বাড়ি ও অনুরূপ বিষয়কে অযৌক্তিক বা বেআইনি হস্তক্ষেপের লক্ষ্যবস্তু বানানো যাবে না, তেমনি তার সুনাম ও সম্মানের ওপর বেআইনি আঘাত করা যাবে না।সবটুকু খবর জানতে ক্লীক করুন

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply