২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:২২/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৫:২২ অপরাহ্ণ

রাঙামাটিতে তোপের মুখে জুম ফাউন্ডেশনের লীন প্রকল্পের উদ্বোধন

     

 

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে তোপের মুখে জুম ফাউন্ডেশনের লীন প্রকল্পের উদ্ভোধনী সভায়। শুরুতে বৈষম্যতা জেলাপ্রশাসনের কোন প্রতিনিধি ব্যতিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে । পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকাগুলোতে কি ধরনের প্রকল্প নেয়া হবে তার সঠিক ধারণা উপস্থাপন করতে পারেনি। পার্বত্য দুর্গম এলাকায় যাতায়তের অবস্থা অত্যান্ত করুন সেখানের বাসিন্দারা পুষ্টি বিষয়ে সচেতন হওয়া অস্বভাবিক। তিনপার্বত্য জেলায় স্বাভাবিকভাবে পুষ্টি হীনতায় ধোয়া তুলে এসব অদৃশ্য প্রকল্প নেয়া কতটুকু কার্যকর তা দেখার অপেক্ষা ব্যতীত আর কিছু নয়।পাহাড়ে ১৮ উপজেলায় ৭৮ ইউনিয়নে পুষ্টি নিয়ে কি ধরনের কাজ করবে তারা তা স্পষ্ট নয় ।

সোমবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব নিয়ে প্রশ্ন কওে তোপের মুখে হয় অংশগ্রহনকারী। তিন পার্বত্য জেলার ১৮টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়ন এ প্রকল্পের আওতায় ইরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ১১,৫০৮২২১ টাকা ব্যয়ে কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ হয়েছে। তা প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোন কাজের নিশ্চিয়তা দিতে পারেনি। জাতীয় পুষ্টি দিবসে সাংবাদিক সম্মেলনে তোপের মুখে পড়েন জুম ফাউন্ডেশনের লীন প্রকল্প।

উল্লেখ্য ,১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তির পরে পাহাড়ে বিদেশী দাতা সংস্থার অর্থায়নে শত শত এনজিও গড়ে উঠে। এনজিও ব্যুরো বিধিমালা না মেনে কাজ করায় প্রধান মন্ত্রীর কার্য্যলয় অনুসন্ধান করে অনিয়মের কারনে অনেক স্থানীয় এনজিও নিবন্ধন বাতিল করা হয়। জেলা প্রশাসক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের এনজিও‘দের নিয়ে পৃথক ২টি কমিটি নিয়ে সভার আয়োজন করা হয় । ২০১৩ সালে জেলা পরিষদ ও ইউএনডিপি যৌথ স্থাস্থ্যক্যাম্প প্রকল্প চালু করা হয়। এসব প্রকল্পে স্থানীয় এনজিও হিলফ্লাওয়ার নদী পথে ভ্রাম্যমান স্থাস্থ্যক্যাম্প দেখিয়ে প্রায় ১৩ কোটি টাকা বিল উক্তোলন করেছে।
অনেক এনজিও প্রকল্পের শুরু করলেও শেষ করতে পারেনি। দুর্গম এলাকায় যাতায়তের অবস্থা ও যোগাযোগের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ রেখেছে। এসব প্রকল্পের সরকারি ভাবে মনিটর করা হয় না বলে সীমাহীন অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হচ্ছে ।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখায়াত হোসেন রুবেল বলেন,এনজিও দের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা না থাকায় ওভারলেপিং হচ্ছে। হ্যান্ডওয়াস কার্যক্রম ইউনিসেপ অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নবোডের্র পাড়া কেন্দ্রে দৃশ্যমান কার্যক্রম চালু রয়েছে । পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে অর্থায়নে ২৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কোথায় বাশ প্রকল্প করেছে আমরা জানি না । জেলা প্রশাসনের ন্যায় প্রতিটি প্রকল্পে মিডিয়াকে সম্পৃক্ত করার আহবান জানান।

স্থানীয় এনজিও হিলাহিলির নিবার্হী পরিচালক টুকু তালুকদার বলেন,পাহাড়ে ১১টি উপজাতী এখনো অনেকে গর্ভবতী মায়ের বুকের শালদুধ তিনমাস শিশুদের পান করতে পারিবারিক নিষেধ করা হয়। সেখানে কিভাবে পুষ্টির সচেতনা নিশ্চিত করতে পারবে আমার বোধগম্য নয়
জেলাপরিষদের সদস্য ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে সম্পৃক্ত দেখিয়ে সেমিনার আয়োজনকারীরা ফটো সেশন মুলত: এনজিওদের কাজের দৃশ্যমান । প্রকল্প পরিচালক সৌভাগ্য মঙ্গঁল চাকমা। ইউরোপিয় ইউনিয়ন এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply