১৯ মার্চ ২০২৪ / ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:৫২/ মঙ্গলবার
মার্চ ১৯, ২০২৪ ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

শাহসুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফে পবিত্র জশনে জুলেছে ঈদে মিলাদুন নবী (সা.) উৎযাপিত

     

দক্ষিন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর জাঁহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গন থেকে ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পৃথিবীতে শুভ আগমনে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন নবী (সা.) এর শোভাযাত্রা, আলোচনা, মিলাদ, ফাতেহা ও আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ১২ দিন ব্যাপি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। পশ্চিম এলাহাবাদ শাহসুফি মমতাজীয়া দরবার শরীফ থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে বাদামতল, কাঞ্চননগর রেল ষ্টেশন, হযরত মোস্তান আলী শাহ (রহ.) মাজার এলাকা, উত্তর কাঞ্চননগর, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল গেইট, রৌশন হাট হয়ে জশনে জুলুছে এ মিলাদুন্নবী (সা.) এর র‌্যালিটি দরবার শরীফের মাঠে এসে শেষ হয়। ১২ দিনব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলের সমাপনী অনুষ্ঠানে আখেরী মুনাজাত করবেন মাহফিল ও জশনে জুলুছের সভাপতি, পীরে তরিকত, জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরতুল আল্লামা শাহছুফি সৈয়্যদ মোহাম্মদ আলী মমতাজী (ম.জি.আ.)। পবিত্র জশনে জুলুছে হাজার হাজার ধর্ম প্রান মুসলমান ও মমতাজিয়া দরবারের ভক্ত, মুরিদ, আশেকান নবী প্রেমিক উপস্থিত ছিলেন। জশনে জুলুসের সভাপতি পীর সাহেব গ্উাসে জামান, ইমামে আশেক-ই রাসূল (সা.) নূরে জাহাঁগিরি, হযরত শাহসুফি আলহাজ্ব সৈয়্যদ মাওলানা মোহাম্মদ আলী (ম.জি.আ.) বলেছেন, রাসূলে করিম (সা.) পৃথিবীতে আগমন ছিল মানবতার মুক্তির জন্য। মহান আল্লাহর পরিপূর্ণ ধর্ম দ্বীন ইসলামকে রাসূল করিম (সা.) এর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। মানবতার মুক্তির জন্য রাসূল (সা.) অগ্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। পবিত্র কোরআন ও পবিত্র হাদিস শরীফ চর্চার মাধ্যমে দ্বীন ইসলামকে ধরে রাখার জন্য তিনি নিয়ামত হিসেবে কোরআন ও হাদিস শরীফ রেখেগেছেন। মহান রবিউল আউয়াল মাস ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের মাধ্যমে দ্বীন ইসলামের অনুসারিদের আলোকিত জীবনের অধিকারী হওয়া সম্ভব। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আমাদের জন্য মহা নেয়ামত। জুলুছ ও মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পীরজাদা মাওলানা মনজুর আলী, আনজুমান এ জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়ার ট্রাস্ট এর নির্বাহী পরচিালক শাহজাদা মাওলানা মুহাম্মদ মতি মিয়া মনসুর, বিশিষ্ট ব্যাংকার শাহজাদা মোহাম্মদ আহছান আলী, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা, বিশিষ্ট ইতিহাস গবেষক সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ-দীন, বিশিষ্ট লেখক আলহাজ মোঃ আব্দুর রহিম, চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুল আলম, মো: হাবিবুর রহমান শাহীন, মুফিত গোলাম কিবরিয়া, মুফতি আলি আহমদ মমতাজী, দাওয়াতে সুফির মোবাল্লিক মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ। উল্লেখ্য যে, আজকের এই ঈদে মিলাদুন নবী (সা.) মাহফিল পরবর্তিতে জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন নবী (সা.) কাঞ্চননগর, পশ্চিম এলাহাবাদে আজ হতে ৮১ বছর আগে শুরু হয় শাহসুফী হযরত আমজাদ আলী জাঁহাগীরি (রাহ.) এর আমলে। পরে এই মাহফিল হযরত শাহসুফি মমতাজ আলী (রা.) এবং বর্তমানে দরবার শরীফের সাজ্জাদানেশীন পীরে তরিকত হযরত শাহ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী মমতাজী (মু.জি.আ.) ধরে রেখেছেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply