১৯ মার্চ ২০২৪ / ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:১৯/ মঙ্গলবার
মার্চ ১৯, ২০২৪ ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

বাকলিয়ায় বৃদ্ধ মায়ের মামলায় ইয়াবা কারবারী ছেলের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু, ওয়ারেন্ট ইস্যুর পর কমেনি নির্যাতন বরং বেড়ে গেছে

     

বিশেষ প্রতিনিধি

বাকলিয়ায় মাদক কারবারী ছেলে ও ভাইয়ের যৌথ নির্যাতনে মানবেতর জীবন যাপন করছে এক বৃদ্ধা ।ওই বৃদ্ধাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ও এর আগে গলা চিপে ধরে ঘর থেকে টেনে হিচরে স্বামীর ঘর থেকে বের করে দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী  নিজ ছেলেই ।বর্তমানে ওই বৃদ্ধা তার এক মেয়ে বাসায় অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়ে চরম দুঃখে এবং রোগ – শোকে দিন যাপন করছে।ওই অভাগা বৃদ্ধার নাম তৈয়বা বেগম।সে রাউজান উপজেলার ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার শাহজাদা আশাদুল্লার আপন ছোট খালা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হকের আপন ছোট ভাই মৃত সিরাজুল হকের স্ত্রী।

তৈয়বা বেগম নিরুপায় হয়ে এসব নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করে।মামলা নং২৮৫/২০২০ তারিখ ১৮/১০/২০ ।ওই মামলায় নিজ ছেলে ইয়াবা বেপারী শরিফুল হক প্রকাশ নাইক্ক্যা কাজ ও নিজ মাদক ব্যবসায়ী এমদাদুল আলমকে বিবাদী করা হয়।ওই মামলায় ইয়াবা কারবারী শরিফুল হক প্রকাশ নাইক্ক্যা কাজলকে গ্রেফতারী পরওয়ানা দেয়। গ্রেফতারী পরওয়ানা জারীর পর নাইক্ক্যা কাজল আটক তো হয়নি বরং নির্যাতনের মাত্রাও বাড়িয়ে দিয়েছে।

জানা গেছে, বৃদ্ধা তৈয়বা বেগমের বর্তমানে ২ মেয়ে ও ৩ ছেলে রয়েছে।৩ জনের মধ্যে শরিফুল হক প্রকাশ নাইক্ক্যা কাজল মাদক ব্যবসায়ী ।বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকায় তার মাদকের কারবার।ইতিপূর্বেও তার মাদক কারবার নিয়ে স্হানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।মামলার সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, তৈয়বা বেগমের আপন ভাই এ্মদাদুল আলম তার ভাগিনা নাইক্ক্যা কাজলকে অর্থসহ নানা অবৈধ কাজের সহযোগিতা দিয়ে থাকে।এ্মদাদুল আলমের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় থাকে। এ্মদাদুল আলম কাজের মেয়েকে বিয়ে করে সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় থাকে।

ইয়াবা কারবারী এ্মদাদুল আলম তার ভাগিনা নাইক্ক্যা কাজল দুজনে মিলে বৃদ্ধার জায়গা সম্পত্তি ও বাড়ী দখলে নিয়ে লুটেপুটে খাবায জন্য জোট বাধেঁ। অপরাপর ভাইবোনদেরও বঞ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে মামা ভাগিনা জোটঁ।এখন এ দাবী  করছে অপর ভাইবোনেরা।ইতিপূর্বে অসামাজিক কর্মকাণ্ড, ইয়াবা ব্যবসা ও নানা অপকর্মের জন্য তৈয়বা বেগম নাইক্ক্যা কাজলকে ত্যাজ্য পুত্রও ঘোষনা করে । জানা গেছে, রাজাখালী ও হাটহাজারীতে এই বৃদ্ধার সহায় সম্পতি রয়েছে।ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করতে পারছে না ওয়ারিশদারগণ।

 

জানা গেছে, এমদাদুল আলম তার সৎ ভাই তৌহিদুল আলমকেও একই কায়দায় তার প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে। এখানেও নাইক্ক্যা কাজলের হাত রয়েছে।প্রসংগত তৌহিদুল আলম রাউজান নিবাসী স্বনামধন্য মৌলভী লোকমানের ছোট ছেলে।সে বর্তমানে রিক্সা চালিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে জানা গেছে।এদিকে বাকলিয়া এলাকাবাসী মাদক ব্যবসার বিস্তাররোধে নাইক্ক্যা কাজলের গ্রেফতার দাবী করছে।

 

 

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply