২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:১৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ

১৫ থেকে ৩০ মিনিটে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জানা যাবে

     

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অন্যতম বাধা নমুনা পরীক্ষা সময়ের ব্যবধান। তবে এই সমস্যা আর থাকছে না। বিশ্বের ১৩৩টি দেশে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নতুন এক প্রযুক্তি চালুর পরিকল্পনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউওইচও)।

সংস্থাটি বলছে, এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটেই ফল পাওয়া যাবে। নতুন এই পরীক্ষার ব্যবস্থা দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নাটকীয় পরিবর্তন এনে দেবে। তাদেরকে আরও অনেক সক্ষম করে তুলবে।

সোমবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস এ তথ্য জানান।

তিনি বলেছেন, ‘নতুন, সহজে বহন ও ব্যবহারযোগ্যথ এই পরীক্ষা কয়েক ঘণ্টা অথবা কয়েক দিন নয়, ১৫ থেকে ৩০ মিনিটে ফল সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে পারবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পাঁচ ডলার অর্থাৎ ৫শ টাকার নিচে খরচ পড়বে। আর ওই দেশগুলোতে ছয় মাসে ১২০ মিলিয়ন পরীক্ষা হবে- এমন চুক্তি হয়েছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে আখ্যা দিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, অনেকে দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও তার ফল পেতে যে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয় তাতে সেসব দেশ সংক্রমণ প্রতিরোধে পিছিয়ে যাচ্ছে। ভারত ও মেক্সিকোর মতো খুব বেশি সংক্রমণ রয়েছে এমন দেশগুলোতে নমুনা পরীক্ষার হার কম হওয়ার কারণে সংক্রমণের সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ১২০ মিলিয়ন পরীক্ষা পদ্ধতি উৎপাদনে দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনকে সম্মতি দিয়েছে ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান অ্যাবট অ্যান্ড এসডি। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার রয়েছে- এমন ১৩৩টি দেশকে এই পরীক্ষা ব্যবস্থা দেওয়া হবে।

টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, পরীক্ষার ল্যাব খুব কম অথবা সহজে পৌঁছানো যায় না, সেসব অঞ্চলে পরীক্ষার ব্যবস্থার সম্প্রসারণে সহায়তা করবে এই পরীক্ষা ব্যবস্থা। কী এই নতুন পরীক্ষা?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, এটি এক ধরনের অ্যান্টিজেন র‍্যাপিড টেস্ট। এই পরীক্ষাতেও নাক বা গলা থেকে সোয়াব বা নমুনা সংগ্রহ করে দেখা হয়, সেখানে ভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কিনা। অ্যান্টিজেন হচ্ছে ভাইরাসের প্রোটিন, যা শরীরের ভেতর প্রবেশ করে কোষের প্রোটিন তৈরির পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে শুরু করে। শরীরের ভেতর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইটস প্রবেশ করলেই শরীর সেটাকে অ্যান্টিজেন হিসেবে গণ্য করে। কারও পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন পাওয়া গেলে তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধরে নেওয়া হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply