২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১২:৪৯/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ

করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেতন-ফি আদায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ

     

রোনার কারণে সরকারি নির্দেশে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছে বেতন ও ফি এককালিন পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর ফুলবাড়ীগেট মমতা নার্সিং কলেজের এক শিক্ষর্থী বলেন, করোনার কারণে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। অথচ হঠাৎ করে আমার বাবার ফোনে ম্যাসেজ ও একটি নোটিশ প্রদান করে মমতা নার্সিং কলেজ থেকে। সেখানে উল্লেখ করে যে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বকেয়া বেতন পরীক্ষার ফি এবং নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে। লকডাউন থাকায় আমার পিতার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ।

নগরীর বয়রা খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের সিভিল ডিপ্লোমা বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দ রাসেল বলেন, আমাদেরও কলেজ থেকে বেশ কয়েকটি ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে। বেতন ও সেমিস্টার ফি বাবদ ২৫ হাজার টাকা বকেয়া আছে এবং দ্রুত এই টাকা পরিশোধ করতে হবে। এই বকেয়া টাকা পরিশোধ না করতে পারলে অনলাইন ক্লাস থেকে আমাকে অনিয়মিত করা হবে। তাছাড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর থেকে দেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার তিন মাস পর থেকে অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু করে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। অথচ এখন বেতন ফিসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান ফি আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

খুলনা ম্যানগ্রোভ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড সায়েন্স টেকনলজি কলেজের পরিচালক বদিউজ্জামান (বদি) জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ফি বা সেমিস্টার ফি আদায়ের জন্য এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি বছর নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বেতন ফি আদায়ের জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে চাপ দেয়া যাবে না। তারপরও যদি কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবক নিজ ইচ্ছায় বেতন পরিশোধ করেন সে বিষয়টি ভিন্ন।

খুলনা মমতা নার্সিং কলেজের পরিচালক অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কলেজে থেকে সব শিক্ষার্থীর কাছে এবং সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের কাছে বেতন ফি পরিশোধের জন্য একটি জরুরি নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করতে হচ্ছে, যে কারণে অভিভাবকদের বেতন ফি পরিশোধ করতে বলা হচ্ছে। সরকার থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নেয়া যাবে না। তাছাড়া অতিরিক্ত যে ৪৫০০ টাকার কথা উল্লেখ আছে সেই টাকা রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন ফি বাবদ চাওয়া হয়েছে।সবটুকু পড়তে ক্লিক করুন

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply