২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:১৭/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ৬:১৭ অপরাহ্ণ

লাখো কোটি সুন্নি জনতাকে কাদিঁয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ওবাইদুল হক নঈমী

     

আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম, শাইখুল হাদিস, লেখক, গবেষক, হাজার হাজার আলেমের উস্তাদ, শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী  ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি …ওয়া ইলাইহি রাজেউন)।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
আজ  সোমবার (৬ জুলাই) বিকাল ৫.১০ মিনিটে চট্টগ্রাম ষোলশহরস্থ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলিয়ার শাইখুল হাদিস হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। সুন্নী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাবেক প্রেসিডিয়াম বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
এদিকে শেরে মিল্লাত মুফতি আল্লামা ওবাইদুল হক নঈমীর ইন্তেকালে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর ইন্তেকালে পৃথক পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানিয়েছেন-বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান, মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান, শাইখুল হাদিস আল্লামা সোলাইমান আনসারী, শাইখুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন আশরাফী, মহাসচিব পীরে তরীকত সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ মাওলানা স.উ.ম আবদুস সামাদ, আহলে সুন্নাতের মুখপাত্র এডভোকেট মোছাহেব উদ্দীন বখতিয়ার, আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার, মহাসচিব মুহাম্মদ শাহাজাদা ইবনে দিদার, আহলে সুন্নাতের নির্বাহী মহাসচিব উপাধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, পীরে তরীকত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী, পীরে তরীকত বদরুদ্দোজা বারী, পীরে তরীকত আবদুশ শাকুর রায়হান নকশবন্দী, আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাবুদ্দীন চৌধুরী, ছোবহানিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি
হারুনুর রশিদ, আল-আমিন বারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইছমাঈল নোমানী, ঢাকা কাদেরিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল আলিম রেজভী, মুফতি আবদুল ওয়াজেদ, আল্লামা জুলফিকার আলী চৌধুরী, মুহাদ্দিস আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়্যব আলী, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু তালেব বেলাল, মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী, মুহাম্মদ শাকুর মিয়া, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মাহমুদ ভূইয়া মানিক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু
আজম, ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি জিএম শাহাদত হোছাইন মানিক, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, অধ্যক্ষ মুফতি মহিউদ্দীন হাশেমী, অধ্যক্ষ বদিউল আলম রেজভী, শহীদ হালিম-লিয়াকত স্মৃতি বৃত্তি পরিচালনা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আখতার হোসেন চৌধুরী, আহলে সুন্নাত চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জামেউল আখতার আশরাফী, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ আল্লামা শাহ খলিলুর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মুফতি জসিম উদ্দীন আলকাদেরী, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ কমর উদ্দিন সবুর, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ সেকান্দর মিয়া, সদস্য সচিব মুহাম্মদ ছাদেক হোসেন পাপ্পু, উত্তর জেলার সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুস শুক্কুর, সাধারণ সম্পাদক এড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি প্রফেসর আবুল মনসুর দৌলতী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ আহমদ আলকাদেরী, উত্তর জেলার সভাপতি মাওলানা ওবাইদুল মোস্তফা কদম রসূলী, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন হোসাইন হায়দরী, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ নঈম উল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মাহমুদ, মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম জিহাদী, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগর নেতৃবৃন্দ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগর নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন দরবারের সাজ্জাদানশীন, তরিকতের শায়খ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির সুন্নি সংগঠনের জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমীর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, তিনি দেশজুড়ে ইসলামের শাশ্বত মূল ধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের প্রচার প্রসারে, সুন্নীয়তের সাংগঠনিক অবস্থান সুদৃঢ় করণে এবং দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর অনুপম অতুলনীয় আদর্শ চরিত্র, ধর্মীয় জ্ঞানের দক্ষতা ও প্রজ্ঞাগুণে শেরে মিল্লাত হিসেবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তিনি সিলসিলায়ে কাদেরীয়া
আলিয়ার ধারাবাহিক দীর্ঘদিন খেদমতে আঞ্জাম দিয়েছেন। সুন্নীয়তকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশব্যাপি ছাত্রসমাজকে সুন্নীয়তের উদার মতাদর্শে উজ্জীবিত করতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা প্রতিষ্ঠায় তিনি পৃষ্ঠপোষকতা দেন। একইভাবে সুন্নী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাবেক প্রেসিডিয়াম বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন। ইলমে হাদিসের খেদমতের জন্যও তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি হাদিসের দরস দিয়েছেন দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানসমূহে  বর্তমানে প্রায় সুন্নী প্রতিষ্ঠানের প্রায় শিক্ষক বিভিন্নভাবে তাঁরই ছাত্র।বক্তারা বলেন, সুন্নি জনতা একজন যোগ্য অভিভাবককে হারিয়েছে। তাঁর ইন্তেকালে সুন্নি অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়। সুন্নি জনতা তাঁর অবদান চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক শোকবার্তায়
বলেন, শান্ত,শিষ্ট ও ইলেমের সমুদ্র আজ চলে গেলেন। সুন্নি জনতা তাদের অভিভাবক হারালো।

প্রসংগত,  পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিনের জানাজার মতো একই কায়দায় শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমীর নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়।তবু গভীর রাত ১২টা ৪০ মিনিটে  নঈমীর নামাজে জানাযায় হাজারো মানুষের ঢল নামে জামেয়ার মাঠে।প্রথমে জানানো হয়েছিল ৭ জুলাই জোহরের নামাজের  পর নঈমীর নামাজে জানাযা হবে। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী জনসমাগম ঠেকাতে রাত ১২ টা ৪০ মিনিটে শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমীর নামাজে জানাযা সম্পন্ন করা হয়।এর আগে পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিনের জানাজা   জোহরের নামাজের পর হবে ঘোষনা দিয়েও সকালে ফজরের নামাজের পর প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী জনসমাগম ঠেকাতে জানাযা পড়ানো হয়। পীর মাওলানা কুতুব উদ্দিনের জানাজায়  অর্ধশত মানুষ হলেও  শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমীর নামাজে জানাযায় হাজার হাজার  মানুষ সমাগম ঘটে।এর আগে সাম্প্রতিক আল্লামা  কাজী নুরুল ইসলাম হামেশীর জানাযায় মানুষের ঢল নামে।প্রশাসনের কৌশলও হার মানে এই মহান দুই ব্যাক্তির শেষ বিদায় অনুষ্ঠানে।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply