একশ টাকার ওষুধে সারবে করোনা!
আপনি যদি করোনা রোগী হন, তাহলে একশ টাকার ওষুধেই সারবে আপনার রোগ। হ্যাঁ, ফেসবুকে কয়েকজন ব্যক্তি এই বিষয়ে পোস্ট করেছেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত থাকাকালীন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একটি অনলাইন পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে এ রকম তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে করোনামুক্ত।
পোস্টে বলা হয়, অকারণে ওষুধের পেছনে ঘুরে লাভ নেই। প্রথমে টেস্ট করাতে হবে। টেস্ট পজেটিভ হলে প্রাথমিক অবস্থায় একটু জ্বর, সর্দি-কাশি থাকে। তাকে ৭০ পয়সার প্যারাসিটামল খেতে হবে। ৭ টাকায় ১০টা প্যারাসিটামল। গরম পানি খেতে হবে। আর কিছু করতে হবে না। যদি নাক দিয়ে পানি পড়ে, তাহলে এন্টিহিস্টামিন খেতে হবে। গণস্বাস্থ্যে সেটার দাম ৫০ পয়সা। আর গরম পানি খেতে হবে, কোনো ঠাণ্ডা খাওয়া চলবে না। এছাড়া আলাদা থাকতে হবে। কোনোভাবেই পরিবারের সাথে থাকা চলবে না। তাহলে সে পরিবারকে আক্রান্ত করে দেবে। এটাই হলো বড় কাজ।
যদি দেখা যায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। ডাক্তার যদি দেখেন অক্সিজেন লাগবে, তা দিয়ে দেবে। আর দুটা করে প্রতিদিন ‘ডক্সিসাইক্লিন’ খাবে ৬ দিন। করোনা চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা খরচ হবে।
সাক্ষাৎকারে ডা. জাফরুল্লাহ বলেছিলেন, আমার কথা হলো, যদি জীবনীশক্তি থাকে, যে সুবিধা আমি পেয়েছি, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাগরিক যেন পায়, তার জন্যে আমি কাজ করতে চাই। সেটাই আমি জনগণকে অবহিত করতে চাই। অকারণে ৫০ হাজার টাকার ইনজেকশন নেয়ার কোনো মানেই হবে না। ‘রেমডেসিভির’ গ্রহণ করা বোকামির কাজ হবে। এটার কোনো লাভ নেই। যত দ্রুত টেস্ট করা যাবে, আলাদা থাকা যাবে এবং খুব অল্প দামের ওষুধটা খেতে হবে। তাহলেই কোনো ভাবনা নেই। এছাড়া আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টা পরপরই গরম পানি খেতে হবে। কখনো কখনো মধু। মধু খেলে গলার খসখসানিটা কমিয়ে দেয়।
তিনি আরেকটা জিনিস সুপারিশ করেছেন, ভিটামিন সি উইথ ডি। এটা গণস্বাস্থ্যে আছে। ওটার দাম বোধ হয় ৩ টাকা করে পড়ে। প্রতিদিন ৪টা করে ট্যাবলেট খেলে ওটা মানুষের প্রতিষেধক শক্তি বাড়ায়। তো সবকিছু মিলে ১০০ টাকার বেশি খরচ নেই। দৈনিক আজাদী থেকে নেয়া