১১ মে ২০২৪ / ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৯:১৩/ শনিবার
মে ১১, ২০২৪ ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ

চিকিৎসা নিয়ে তালবাহানা না করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন

     

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে তালবাহানা না করতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । চিকিৎসা না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের মা-বাবা বা কোনো স্বজন মারা গেলে কেমন লাগবে সেই প্রশ্নও করেন মেয়র নাছির। মেয়র নাছির বলেন, আপনারা তো ফ্রিতে চিকিৎসা দিচ্ছেন না। চিকিৎসা ফি নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন৷ কয়েকদিন ধরে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে মারা যাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বেসরকারি স্বাস্থকর্মীরা প্রণোদনা দাবী করছেন কিন্তু সে প্রণোদনা তো বেসরকারি ক্লিনিক মালিকদেরই দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে কারণ তারা টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। সিটি মেয়র বলেন, বারবার অনুরোধ করে বলার পরও চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালগুলো রোগী নিতে তালবাহানা করছে। কোনো রোগী হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোভিড বা নন-কোভিডের সার্টিফিকেট খোঁজে। কিন্তু একজন মানুষ কিভাবে সঙ্গে সঙ্গে এই সার্টিফিকেট দিবে? অন্তত তাকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। পরীক্ষা দেওয়ার সাথে সাথে রিপোর্ট ও পাওয়া যাচ্ছে না। সার্টিফিকেট এর কথা বলে এভাবে রোগী ভর্তি না করে মেরে ফেলা ফৌজদারি অপরাধ, জনগণের সঙ্গে স্রেফ প্রতারণার শামিল। তিনি বলেন, প্রশাসনকে এবার সংক্রামক ব্যাধি আইনে শাস্তি প্রয়োগের দিকেই যেতে হবে। আর কোন রোগীকে ফেরত দিলে ছাড় দেওয়া হবে না মর্মে তিনি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের হুশিয়ার করে দেন। মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকাল ৩ ঘটিকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব জনাব আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে জুম কনফারেন্সিং সিস্টেমে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভা উপলক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এভাবে চট্টগ্রামের চিকিৎসার বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরেন। একইদিন সকাল ১১ঃ৩০ টায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে করোনা ইউনিট উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য কালে ও একই বক্তব্য তুলে ধরেন। মেয়র তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন,আর কোনো অনুরোধ হবে না। এবার অ্যাকশন শুরু হবে৷ যদি কোনো রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যায় বা আপনারা চিকিৎসা না দেন তবে এর পরিণাম ভালো হবে না। মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি সগির আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র আ জ ম নাছির। তিনি মুখ্যসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আজকে সকালে আমাদের থানা আওয়ামী লীগের এক সেক্রেটারি স্ট্রোক করেছিলেন। তাকে তিন চারটা হাসপাতালে নেওয়া হলেও কোনও হাসপাতালেই সিট খালি নেই এমন অজুহাতে ভর্তি করায়নি। পরে যখন পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলো তখন চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন তিনি আর বেঁচে নেই।’ তিনি বলেন, এ ধরণের নৈরাজ্য প্রতিরোধে সংক্রমণ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply