২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:১৭/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

করোনা ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম ! অধিকহারে বাড়ছে করোনা রোগির সংখ্যা

     

আরমান হোসেন
সম্প্রতি চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) দেশে মহামারি আকার ধারন করেছে। জ্যামিতিক হারে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা।দেশে ৮ই মার্চ ২০২০ সালে (১ মাস ও ৬ দিন পূর্বে) প্রথম করোনা রোগি শনাক্ত হয়। ১৪ই এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত (কোভিড-১৯) পরীক্ষা করা হয়েছে সর্বমোট ১৩,১২৮ জনের।যার মধ্যে এখন পর্যন্ত পরীক্ষায় সর্বোমোট আক্রান্ত পাওয়া গেছে ১,০১২ জন। যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৪২ জন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯২৪ জন। দেশে মোট মৃত্যু ৪৬ জনের যাদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৭ জন। (সূত্র: আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে) এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বেশি থাকলেও এটি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামে প্রথমদিকে করোনা রোগি কম থাকলেও বর্তমানে অধিকহারে বাড়ছে করোনা রোগি।একদিনে ১১জন শনাক্ত হওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে চট্টগ্রামবাসী।বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রাম ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রস্হল হওয়ায় করোনা সংক্রমণের হার আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৪ এপ্রিল রিপোর্ট অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলায় ” (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১১ জন। এনিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগী ২৭ জন। ১১ জন শনাক্ত রোগির মধ্যে, নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা হাক্কানি পেট্রোল এলাকার চারজন। তাদের বয়স যথাক্রমে, মহিলা (১৮) বছর, পুরুষ(২১) বছর, পুরুষ(২৪), মহিলা (৪০) বছর, বোয়ালখালী উপজেলার (৭০) বছর, নগরীর পাচঁলাইশ কাতালগঞ্জের পুরুষ (২৮) বছর, সাতকানিয়া উপজেলার ইছামতি আলীনগর ৫ জন, যথাক্রমে, ৩০ বছর, ২৭ বছর, ২৫ বছর ও ২৭ বছর।
গত শুক্রবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় নগরের চকবাজার থানার দামপাড়ায়। এর দুদিন পরেই (৫ এপ্রিল) শনাক্ত হয় প্রথম করোনা আক্রান্ত ওই রোগীর ছেলের।
গত বুধবার(৮ এপ্রিল) নগরীরর সাগরিকা, হালিশহর ও সীতাকুন্ড উপজেলায় তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার নরগরীর ফিরিঙ্গীবাজার ও আকবরশাহ’তে আরও ২ জন করোনার রোগী শনাক্ত হয়।এছাড়া সিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্য, একজন ফৌজদার হাট এলাকার, দুজন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং একজন পটিয়ার ৬ বছর বয়সী এক শিশু। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষীপুর জেলার রামগতি এলাকায় একজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে পটিয়ার ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়। প্রথমদিকে চট্টগ্রামে করোনা রোগী কম থাকলেও একদিনে ১১জন করোনা রোগী শনাক্তের পর চট্টগ্রামকে বিপদ সংকেত দিয়েছে। চট্টগ্রাম শহর এখনো সম্পূর্ণ লকডাইন না হলেও বিভিন্ন শহর থেকে যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনা রোগী পাওয়া গেছে। কিন্তু স্হানীয় সরকার ও প্রশাসন জনগণকে এখনো সচেতন করে তুলতে পারেনি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে চলছে ঘন জমায়েত,ব্যবসা বাণিজ্য,পাড়ায়-পাড়ায় আড্ডা ও খেলাধূলা।উপজেলা প্রশাসন ও নগরীতে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হলেও এসব মানছেনা কেউ। দেশের মানুষের মনোভাব এমনটাই, করোনা ভাইরাস যখন চীনে শুরু হলো আমরা বলতে লাগলাম চীনেই তো আমাদের দেশে তো নয়! আর যখন দেশে শুরু হলো আমরা বলতে লাগলাম এখনো তো ঢাকায়, আমার এলাকায় তো নয়।আর এখন এসেছে নাকের ডগায়! দুই-দিন পর এই ভাইরাস আসবে আপনার বাসায়।তখন আর পালানোর উপায় নেই।তাই সময় থাকতে আপনার ঘুমন্ত বিবেক কে জাগ্রত করুন। আসুন সচেতন হয়,সচেতন হোক দেশের প্রতিটা নাগরিক। ঘরে থাকুন,সুস্হ থাকুন।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply