১৬ মে ২০২৪ / ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:০৭/ বৃহস্পতিবার
মে ১৬, ২০২৪ ৪:০৭ অপরাহ্ণ

আজ পবিত্র শবে বরাত

     

শবে বরাতকে হাদিসের ভাষায় লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান বলা হয়। আরবী শাবান মাসের ১৫তম রজনীকে হাদিসের ভাষায় লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান বলা হয়, যা আমাদের দেশে শবে বরাত নামে অধিক পরিচিত। এই রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এই রাতে নফল ইবাদত,রোজা,কোরআন তেলওয়াত,কবর ও মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে ইবাদত বন্দেগী করা হয়। অনেকে শবে বরাতকে কেন্দ্র করে হালুয়া-রুটি ও ফাতেহা শরীফের আয়োজন করে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য এটি ভাগ্য রজনী হিসেবে পরিচিত।

হাদিসে আছে, রাসূল (সাঃ) রমজানের রোজা ব্যতিত শাবান মাসে অধিক রোজা রাখতেন। মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি.) বলেন- আমি এক রাত্রিতে রাসুল ﷺ কে ঘরে পাইনি। ঘর থেকে বেরিয়ে জান্নাতুল বাকীতে পাই। রাসুল ﷺ বললেন, আজ ১৪শাবানের দিবাগত রাত। এরাত্রিতে আল্লাহ প্রথম আসমানে আসেন এবং বনু কলব গোত্রের ছাগলের সমূদয় পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি কৃত আল-জামেঈ সহিহ, ৩/১১৬ মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল ৬/২৩৮) মুয়াজ বিন জাবাল (রাদি.) থেকে বর্নিত, রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেন, শাবানের ১৫তম রাত্রিতে আল্লাহ স্বীয় সৃষ্টির প্রতি রহমতের দৃষ্টি দান করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (তাবরানী কৃত মুজামুল আওছাত, হাদিস নংঃ ৬৭৭৬, সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নংঃ ৫৬৬৫) হযরত আলী (রাদি.) বর্ননা করেন, রাসুল  (সাঃ)এরশাদ করেছেন, শা’বান মাসের ১৫ তারিখ উপনীত হলে তোমরা ইবাদতের মাধ্যমে রাত উদযাপন কর এবং দিনে রোজা রাখ। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১/৪৪৪, বায়হাকী কৃত শুয়ায়বুল ইমান ৫/৩৫৪) ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারন করায় মসজিদে বিশাল জামাত নিষিদ্ধ করেছে এবং শবে বরাতের ইবাদত ঘরে পালন করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসলামীক ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদরা এটিকে সমর্থন জানিয়েছেন।তাই,ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঘরেই করতে হবে শবে বরাতের ইবাদত।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply