একটু জমিও যেন অনাবাদি না থাকে: প্রধানমন্ত্রী
একটু জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। ঘরের কোনায় হলেও কিছু ফসল ফলান, ফলমূল আবাদ করুন। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে অল্প একটু জমিও যেন পড়ে না থাকে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলা সমূহের ডিসিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলা সমূহের ডিসিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সেে তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
করোনা পরিস্থিতিতে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃত করা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। আর এই পরিস্থিতিতেও যারা কাজ করতে শর্ত দিচ্ছেন, তাদের কাজ করার প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়া সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুব দুঃখজনক। মানুষ এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছে, চিকিৎসা পায়নি। চিকিৎসকরা কেন চিকিৎসা দেবে না, এটা খুব দুঃখজনক।
তিনি বলেন, সরকার যথাযথ সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই বিশ্বব্যাপী করোনার যে বিস্তার, বাংলাদেশে তেমনটা নয়। আমাদের ভয় পেলে চলবে না। সতর্ক থাকতে হবে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্বেই ঝড় বয়ে যাচ্ছে্। করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে হলে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা যে সতর্কবাণী দিয়েছি এই সতর্কতা মেনে চলবেন। তাহলে অনেক জীবন রক্ষা পাবে।
এছাড়াও সরকারের ঘোষিত খাদ্য সহায়তা যেন সঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি ইউনিয়নে কমিটি রয়েছে। কিন্তু আমি চাই, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ড-ভিত্তিক কমিটি করা হোক। এই কমিটির কাজ হবে যারা বিভিন্ন ভাতার আওতার বাইরে খেটে খাওয়া মানুষ, এখন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, সাহায্য চাইতে পারছেন না, তাদের তালিকা করা হোক। তাদের জন্য আলাদা করে কার্ডের ব্যবস্থা করে তাদের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হোক।