৪ মে ২০২৪ / ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:২৩/ শনিবার
মে ৪, ২০২৪ ১:২৩ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার থেকে ২৮০ কি. মি. দূরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ নিরাপদে সরানো হল পর্যটকদের: সকালে আঘাত হানতে পারে ‘মোরা’

     

ঘূর্ণিঝড় মোরা’র কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সকল পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।  কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশ সৈকতে মাইকিং করে পর্যটকদের নিরাপদে চলে যেতে বলছে।  রাত ১০টায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে পর্যটকদের সৈকতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।

কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমি জানিয়েছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় মুখ্য বিষয়। অনেক পর্যটক ঘূর্ণিঝড়ের উত্তাল সাগর দেখার জন্য সাগরে নামতে চাইছে। তাদের সবাইকে অনুরোধ করে নিজ নিজ হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও শক্তিশালী হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।  আজ মঙ্গলবার সকালে এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে।  গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় আবহাওয়া অধিদফতরের এক বার্তায় একথা বলা হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ এ কেএম রুহুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বুলেটিনে গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় অধিদফতরটি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়,মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৮ নম্বর নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এরপর আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিন-১৩ তে এ তথ্য জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরও এগিয়েছে উপকূলের দিকে।  সোমবার রাত ৯টায় এটি কক্সবাজার উপকূল থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার বিশেষ বুলেটিন-১২তে বলা হয়, মোরার প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সেই সাথে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়াও উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply