২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:২৬/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৬:২৬ অপরাহ্ণ

গাজীপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

     

মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

“দুধ পানের অভ্যাস গড়ি, পুষ্টি চাহিদা পূরণ করি” এই প্রতিপাদ্য বিষয়টি সামনে রেখে গাজীপুরে ১ জুন বৃহস্পতিবার বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের আয়োজনে গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ উন্নয়ণ কেন্দ্রের ২য় তলার সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গাজীপুর জেলা ভেটেরিনারী হাসপাতালের ভেটেরিনারী সার্জন (ভিএস) ডাঃ মোঃ মুখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) ডাঃ অখিল চন্দ্র।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) ডাঃ মোঃ সেলিম উল্লাহ, কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন (ভিএস) ডাঃ মোঃ আশরাফ হোসেন, কাপাসিয়া উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন (ভিএস) ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল শামীম, কালীয়াকৈর ভেটেরিনারী ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ) মোঃ হারুন অর রশিদ, কাপাসিয়া ভেটেরিনারী ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ) এসএম বেলায়েত হোসেন, দুগ্ধ খামারীদের মধ্যে মোঃ কাজিউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ভেটেরিনারী হাসপাতালের ভেটেরিনারী সার্জন (ভিএস) ডাঃ মোঃ লুৎফুর রহমান, সাংবাদিক মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক) ও ৫ উপজেলা থেকে আগত প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ডেইরি ফার্মের মালিকরা। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সহকারী (ইউএলএ) মোঃ আনিছুর রহমান সিদ্দিকী প্রমুখ।

এছাড়া আলোচনা সভায় আদর্শ খাদ্য হিসেবে দুধের চাহিদা ও এর উৎপাদনের গুরুত্ব তুলে ধরে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন (ভিএস) ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মারুফ।

আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) ডাঃ অখিল চন্দ্র “দুধ পানের অভ্যাস গড়ি, পুষ্টি চাহিদা পূরণ করি” এই প্রতিপাদ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আসুন আমরা অঙ্গিকার করি আজ থেকে আমরা নিজেরা সবাই দুধ খাওয়ার অভ্যাস করি এবং দুধ খাওয়ার জন্য অন্যদের উদ্বুদ্ধ করি। সুস্থ সবল জাতি গড়তে প্রত্যেককে প্রতিদিন কমপক্ষে এক গ্লাস দুধ পান করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। সুষম খাদ্য বলতে দুধ কে বুঝায়। দুগ্ধ পানে স্বচ্ছতার সাথে থাকা বা স্বাস্থ্য সম্মতার সাথে থাকা কে বুঝায়। এক্ষেত্রে সরকার বেশ ভূমিকা রেখেছে। দুগ্ধ উৎপাদনকারী কৃষকদের মধ্যে ঋণ দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে।

কাপাসিয়া উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন (ভিএস) ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল শামীম বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষ তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন কোমল পানীয় ব্যাপক হারে পান করছে, যা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ওইসব কোমল পানীয় শরীরের পানি যুক্ত করার পরিবর্তে শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। গরমে ওই সব পানীয় পান করলেও ক্ষণিক সময়ের জন্য স্বস্তি পেলেও তা গরম প্রতিহত করতে পারে না। কিন্তু দুধ বা দুগ্ধজাতীয় পানীয় গরম প্রতিহত করতে অনেক কার্যকর।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ৩৬ শতাংশ শিশুর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের দৈহিক ও মস্তিষ্কের গঠন সঠিকভাবে হয় না। কিন্তু যেসব শিশু জন্মের পর থেকে দুধ পান করে তাদের দৈহিক ও মস্তিষ্কের গঠন যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়।

আলোচনা শেষে উপস্থিত শতাধিক অংশগ্রহণকারীর মাঝে ব্র্যাক ডেইরি এণ্ড ফুড প্রডাক্টের আড়ং ডেইরির ৫০০ এমএল পাস্তুরিত তরল দুধের ১টি করে প্যাকেট ও ফারমেন্টেড মিল্ক লাবান ২৫০ এমএল ১টি করে বোতল বিতরণ করা হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply