চবিতে শাটল ট্রেন ও বাস বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয় ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। বিবদমান গ্রুপ দুটি হলো শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী সিএফসি ও বিজয় গ্রুপ। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষের জেরে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এদিকে বিজয় গ্রুপ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের বহিষ্কার চেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দেয়। এসময় তারা নগরীর বটতলী রেল স্টেশন থেকে লোকো মাস্টার খুরশিদ আলমকে অপহরণ করে ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেয়। ফলে সারা দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এছাড়া শিক্ষক বাসের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়ায় এবং পরিবহন দপ্তর থেকে কোনো বাস শহরে যেতে না পারায় বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ছিল।
রাতের ঘটনায় আহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১০-১১ শিক্ষাবর্ষের মো. ইলিয়াছ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ওবায়দুর রহমান লিমন, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নিলয় হাসান, পরিসংখ্যান বিভাগের ১০-১১ বিভাগের মাহফুজুর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের প্রিয়াম রায় প্রান্ত। তারা সবাই বিজয় গ্রুপের কর্মী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্যদিকে দুপুরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় সিএফসি গ্রুপের কর্মী ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শোয়েবুর রহমান কনককে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা কুপিয়ে আহত করে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে সোহরাওয়ার্দী হলে সিএফসি গ্রুপের কর্মীদের রুম দখলে নেয় বিজয় গ্রুপের কর্মীরা। শনিবার রাতে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা তাদের রুম ফের দখলে নিলে দুই গ্রুপে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বিজয় গ্রুপকে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে বিতাড়িত করে আলাওল হলের দিকে সিএফসি গ্রুপ ধাওয়া দেয়। এ সময় সিএফসি গ্রুপ আলাওলের সামনে অবস্থান নিলে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বিজয় গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এইচ এম তারেকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের নির্দেশে এই অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি এবং দ্রুত তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে দাবি জানাচ্ছি। তাকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমাদের অবরোধ চলবে।’ সবটুকু খবর পড়তে ক্লীক করুন