২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৮:৫১/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে অবৈধ দোকান স্থাপনা গুড়িয়ে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

     

আনোয়ারা উপজেলার পারকি সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান, ঘর, স্থাপনা উচ্ছেদ করেন আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন। এসময় ১১০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় । এছাড়া অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পারকি রিসোর্ট এন্ড হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পায়। অপর চারজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রিয়াংকা চাকমা। আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। সূত্রে জানা যায়, পারকি সমুদ্র সৈকত এলাকায় অর্ধশতাধিক খাবারের দোকান গড়ে তুলে এসব দোকানের প্রতিটির ভিতরে আলাদাভাবে ছোট ছোট ঘর প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেগুলো অসামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। পাশাপাশি হাতের নাগালে মিলছে মাদকও। বিপদগামী আর নেশায় জড়িয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। আর এসব অপকর্মে তাদের মদদ দিচ্ছে সমাজের কিছু প্রভাবশালী ও স্বার্থন্বেষী মহল। পারকি রিসোর্ট এন্ড হোটেলের মালিক জালাল উদ্দিন বলেন, তাদেরকে কী কারণে আটক করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটককৃতদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্ণফুলী থানার বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ ফরিদ উদ্দিন, আটককৃতদের মধ্যে দুইজন স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের কাবিননামা দেখিয়ে ছাড়া পায়। অপর চারজনকে আনোয়ারা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, পারকি সৈকতের পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply