১২ মে ২০২৪ / ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:২৮/ রবিবার
মে ১২, ২০২৪ ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ

অভু্ক্ত ছালাম ভক্তরাও বললেন এটা বিদায়ী প্রতারনা!

     

আমার স্বপ্ন এখনো শেষ হয়নি। ৬৮ বছর বয়সে চট্টগ্রামকে নিয়ে আমি এখনো স্বপ্ন দেখি। আমি ছোট্ট মানুষ মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মী ছিলাম।কথাগুলো সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের।

আজ দুপুরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১০ বছরের দায়িত্ব পালন শেষে চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে বিদায়ী সম্বর্ধনা দেন।তাহেরা ফেরদৌস এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।

দুুুপুর ১১টা থেকে এই সম্বর্ধনা সভায় আবদুচ ছালামের ভক্তরা আসতে শুরু করে।বিকাল সোয়া তিনটায় এই সম্বর্ধনা সভা শেষ হয়। প্রায় বক্তারা উপস্হিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্য রোদ ও ঝানজট উপেক্ষা করে দীর্ঘক্ষন বসে থাকার কথা স্বরণ করেন। এই সময় ঘোষক বার বার উপস্হিত শ্রোতাদের নাস্তার কথা শুনিয়ে দেয় মাইকে।কিন্ত অনুষ্ঠান শেষে অধিকাংশ লোকজন চলে যাবার পরেও নাস্তা বিলি শুরু করা হয়নি।নাস্তার দুটো গাড়ী পাহারা দিয়ে রাখে কতিপয় লোক।পরে পুলিশী সহায়তায় কিছু নাস্তা বিলি করা হয় বিশৃংখলভাবে।তখন আবদুচ ছালামের ঘোর সমর্থকেরা বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি।অনেকে এই সময় ফ্রাইওভারসহ বহু প্রজেক্টে দূর্নীতি হয়েছে বলে বলাবলি করেন।এই সময় একজন নাম প্রকাশ শর্তে বলেন দেখুন আজকে ক্ষুধাত্ব মানুষদের নিয়ে বিদায়ী প্রতারনা করল তারা।উপস্হিত সকলে বিষয়টি মাথা নেড়ে সায় দিতে দেখা গেছে।

বিদায়ী সভায় সিডিএ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বোর্ড সদস্যদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। বোর্ড সদস্যদের পক্ষে জসিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন শাহ, কে বে এম শাহজাহান, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, এম আর আজিম, স্হপতি আশিক ইমরান ও রোমেনা নাসরিন বক্তৃতা করেন।

আবদুচ ছালাম তার বিদায়ী বক্তব্যে বলেন, গত ১০ বছরে চট্টগ্রামের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। যেসব কাজ করেছি তা আজ দৃশ্যমান। অনেক কাজ শেষ। যেগুলো চলমান রয়েছে সেগুলো শেষ হলেই চট্টগ্রামের যানজট ও জলাবদ্ধতা বিদায় নেবে।
তিনি আরও বলেন, আমি সুযোগ পেয়েছি বলেই সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে ১০ বছর কাজ করতে পেরেছি। আগামীতেও সুযোগ এলে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য কাজ করবো।
সিডিএ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নতুন চেয়ারম্যানকে আপনারা সবাই সহযোগিতা করবেন। উনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
সিডিএ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবদুচ ছালাম বলেন, আমার বয়স ৬৮ বছর। এ বয়সে আমার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনের প্রাপ্তি এক পাল্লায় ও সিডিএ’র চেয়ারম্যানের ১০ বছর অপর পাল্লায় রাখলে, সিডিএ’র পাল্লা ভারী হবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply