শাহ্ সূফি মমতাজিয়া ট্রাষ্টের ইফতার মাহফিলে চীফ হুইপ
ভারতীয় উপ-মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী সুফিতাত্ত্বিক ও আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান-এ জাহাঁগিরিয়া শাহ্ সূফি মমতাজিয়া ট্রাষ্টে উদ্যোগে ২৫ মে ২০১৮ শুক্রবার নগরীর আইডিইবি ভবনে মাহে রমজানের তাৎপর্য এবং চন্দ্র দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত আল্লামা শাহসুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী মমতাজি (মা.জি.আ) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মাননীয় চীফ হুইপ আলহাজ্ব আ স ম ফিরোজ এমপি। চন্দ্র দর্শন ও মাহে রমজানের তাৎপর্য নিয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করেন ওঅইসি ফিকাহ্ একাডেমীতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ। অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মীর মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন শিবলী, সাবেক সচিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক গভর্ণর ও জাতীয় যাদুঘরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কবি আজিজুর রহমান আজিজ, বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক মোহাম্মদ সইদুজ্জামান সাঈদ, দৈনিক কালের কণ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, আঞ্জুমান-এ জাহাঁগিরিয়া শাহ্ সূফি মমতাজিয়া ট্রাষ্ট এর নির্বাহী পরিচালক পীরজাদা মোহাম্মদ মতি মিয়া মনসুর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন ড. নাছির উদ্দিন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের স্পেশাল অ্যাফেয়ারস এডিটর মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, বিমানবাহিনী সাবেক সহকারী প্রধান ও মহাকাশবিদ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এয়ার কমোডর (অব.) ড. সৈয়দ জিলানী মাহবুবুর রহমান পিএসসি, পি. ইঞ্জি., বিশিষ্ট ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞ ড. মাওলানা এ কে এম মাহাবুবুর রহমান, বদরপুর দরবার শরীফের ছোট হুজুর হাফেজ ক্বারী আল্লামা শাহ-সাইয়্যেদ নাসির বিল্লাহ রব্বানী, মুফতী মাওলানা আলী আহমদ, মুফতী মাওলানা ইকবাল হোসাইন, মাওলানা মো. গোলাম রব্বানী, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া আজহারী, মাওলানা মোকতার আহমদ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা মোহাম্মদ রিয়াজ ঢালী। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন এস এম মোর্শেদ আলী তুহিন ও মাওলানা জসিম উদ্দীন। আলোচনা সভায় বিজ্ঞ আলোচক বলেছেন পবিত্র হাদিস শরীফে আছে, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ আর চাঁদ দেখে রোজা ছাড়”। এই কথার অর্থ হলো, একেক দেশে একেক সময়ে নয়, বরং সারা বিশ্বে একই সময়ে রোজা রাখা এবং রোজা ছাড়া এটিই নিয়ম। কিন্তু আমরা এটা পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পারছি না। সভায় আলোচকগণ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সারা বিশ্বে একই দিন একসঙ্গে রোজা শুরু ও শেষ করার আহ্বান জানিয়ে পবিত্র রমজানের মর্মার্থ বুঝা ও রোজা রেখে ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে, ফরজ আদায় করতঃ ইহকাল ও পরকালের নাজাত প্রাপ্তির জন্য রোজার পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান জানান। সভায় বিজ্ঞ আলোচকগণ আরো বলেছেন সারা বিশ্বের মুসলমানগণ যদি একই দিনে রোজা রাখেন তাহলে প্রথম ফরজ রোজা বাদ যাবে না। এবং ঈদের দিনে একটি হারাম রোজা রাখতে হবে না। তাই চাঁদ দেখে রোজা রাখা এবং রোজা ছাড়া এই বিধান সকলের মেনে চলা উচিত।
