২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:১৬/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৮:১৬ অপরাহ্ণ

অসহনীয় যানজট থেকে নগরবাসী মুক্তি চায়- সুজন

     

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সমস্যা চিহ্নিত করন এবং তা থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে কর্মপন্থা নির্ধারনের জন্য জনদূর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন ১৪ মার্চ বুধবার দুপুরে উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু সায়েম এর সাথে তাঁর দফতরে স্বাক্ষাত করেন।

এ সময় সুজন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলছে অসহনীয় যানজট, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী। যানজটের কারণে মানুষের নাকাল হয়ে উঠার মতো অবস্থা। নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আজ যানজটের কবলে। যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ঘন্টার পর ঘন্টা অমূল্য শ্রমঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং এর ফলে ট্রাফিক সিস্টেম অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নগরীর কর্ণেল হাট থেকে অলংকার মোড়, নিমতলা বিশ্বরোড থেকে বড়পুল, সল্টগোলা রেলক্রসিং থেকে সিইপিজেড মোড়, ২নং গেইট থেকে অক্সিজেন মোড়, মুরাদপুর থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দারহাট থেকে নতুন ব্রীজ, প্রবর্ত্তক মোড় থেকে চকবাজারসহ নগরীর অন্যান্য সড়কগুলোতে সারাদিন যানজট লেগেই থাকছে। কোনভাবেই এ যানজটকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যানজটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে নিয়মিত অফিস যাত্রা, স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিতি লেগেই আছে। বিমান যাত্রীরা দূর্ভোগে পড়ছে সবচেয়ে বেশী। প্রায়শই সময়মতো বিমান ধরতে পারছে না বিমান যাত্রীরা। এ্যাম্বুলেন্স এবং লাশবাহী গাড়ীও আটকা পড়ছে প্রতিনিয়ত। এ্যাক্সিডেন্ট হয়ে পড়েছে মানুষের নিত্যসঙ্গী। প্রতিদিনকার রুটিন যানজটের কারণে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড় থেকে যানজট অপসারণ করার জন্য ট্রাফিক বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তাছাড়া নগরীতে দিনের বেলায় ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আহবান জানান। গণপরিবহনের সংকট নিরসন করে যাত্রী সাধারণকে নিরাপদে চলাচল নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান এবং চলাচলরত গণপরিবহনকে জনসাধারনের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য ট্রাফিক বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এছাড়া যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্যও তিনি আহবান জানান।

সুজন আরো বলেন, প্রজাতন্ত্রের পক্ষ থেকে এ দায়িত্ব ট্রাফিক বিভাগের। সুতরাং আমরা ট্রাফিক বিভাগের পরিপূর্ণ এ দায়িত্বের বাস্তবায়ন চাই।
উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু সায়েম ধৈর্য্য ধরে নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনেন এ থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে ট্রাফিক বিভাগ কিভাবে কাজ করে তার একটি বর্ণনাও নেতৃবৃন্দের সামনে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে যে হারে গাড়ী চলাচল করছে সে হারে রাস্তাঘাট নির্মিত হয়নি। উন্নয়ন কেন্দ্রিক রাস্তাঘাট সংস্কারের কারণেও যানজট হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তাছাড়া নগরীতে কোন নির্দিষ্ট ট্রাক কিংবা বাস টার্মিনাল নেই। যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং তার অন্যতম একটি কারণ। আর যে সকল গাড়ী যত্রতত্র রাস্তায় পার্কিং করা থাকে সে সকল গাড়ীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে রাখার জন্য কোন ডাম্পিং ইয়ার্ডও নেই। অথচ চট্টগ্রাম হচ্ছে বানিজ্যিক এবং বন্দর নগরী। বন্দর কেন্দ্রিক শতশত গাড়ী প্রতিদিন চট্টগ্রাম নগরীতে প্রবেশ করে আবার বের হয়। সিইপিজেড, কেইপিজেডসহ বিভিন্ন সংস্থার বিপুল সংখ্যক গাড়ীও প্রতিদিন নগরীতে চলাচল করে কিন্তু দুঃখের বিষয় এতো বিপুল সংখ্যক গাড়ীকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সার্জেন্ট কিংবা ট্রাফিক পুলিশ বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে নেই। আমরা ইতিমধ্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জনবল সংকটের কথা জানিয়েছি আশা করছি নতুন জনবল পেলেই আমরা যানজটের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাবো। এছাড়া নগরীতে আরো বেশ কয়েকটি নতুন নতুন বাস এবং ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের জন্য সরকারের সুনজর কামনা করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হাজী মোঃ ইলিয়াছ, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু তাহের, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী হোসেন কোম্পানী, সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব হাজী হাবিব শরীফ, হাজী ছালেহ আহমদ, হাজী মোঃ শাহীন, নুরুল কবির, মোঃ এজাহারুল হক, মোঃ শাহজাহান, হাজী হাফেজ মোঃ ওকার উদ্দিন, জাহিদ আহমদ চৌধুরী, এনামুল হক মিলন, স্বরূপ দত্ত রাজু, সাকিব রাদিত উল্ল্যাহ, মোঃ মাহফুজ, মনিরুল হক মুন্না, হোসেন চৌধুরী সাদ্দাম প্রমূখ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply