খালেদার রায় ঘিরে উত্তাপ হার্ডলাইনে পুলিশ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, ২০১৩ ও ১৪ সালে এ ধরনের নাশকতা পুলিশ কঠোর হস্তে প্রতিরোধ ও দমন করেছে। ওই ধরনের হামলা ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড করলে পুলিশ চুপ থাকবে না। জানমালের কোন ক্ষতি ঘটাতে দেওয়া হবে না। এ জন্য পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। জড়িতদের গ্রেফতার শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলবে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ মুখে ১৩ টি চেকপোস্ট রয়েছে। এই চেকপোস্টে যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হবে। তবে নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়- সে ব্যাপারে পুলিশকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোতে রাজনৈতিক বহিরাগত নেতা-কর্মীরা ঠাঁই নিয়েছেন। অনেকেই নাম-পরিচয় গোপন রেখে হোটেলে অবস্থান করছেন। তাদেরকে এক সপ্তাহ আগে ঢাকায় আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ি তারা ঢাকায় চলে আসেন। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন তল্লাশি চালায়নি বলে কয়েকটি হোটেলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, বোর্ডার আসছেন, আবার যাচ্ছেন। তবে আগের চেয়ে একটু বেশি আসছেন। তারা ৪/৫ দিনের বেশি সময় ধরে অবস্থান করছেন।
গতকাল তোপখানা রোডের কয়েকটি আবাসিক হোটেলে গিয়ে কথা হয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। হোটেল কর্ণফুলির ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, হোটেলে আন্দোলনকারীরা উঠেছেন তাদের নাম পরিচয় দিয়ে। তবে এখন পর্যন্ত তাদেরকে রাখা যাবে কি না-এ ব্যাপারে পুলিশের কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। পুলিশ নির্দেশনা দিলেই আমরা ব্যবস্থা নেব। হোটেল সম্রাট এর ব্যবস্থাপক আব্দুল হাই বলেন, দুই একজন বোর্ডার আন্দোলনকারী হতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের কোন নির্দেশনা মিলেনি।ইত্তেফাক/নূহু থেকে হুবহু নেয়া