৪ মে ২০২৪ / ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৯:৫৬/ শনিবার
মে ৪, ২০২৪ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

মোহরায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম মাতৃঋণের মতো জন্মভূমির ঋণও শোধ করা যাবে না

     

 

 

‘চট্টল রত্ন’ অভিধায় বিভূষিত হলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। চট্টগ্রামে যুগান্তকারী উন্নয়ন ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে অসামান্য সফলতা অর্জনের জন্য আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের জনসাধারণ এ বিশেষণে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

গতকাল সন্ধ্যায় মোহরা মহল্লা কমিটির মাঠে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মোহরা ওয়ার্ডে জন্মজাত আবদুচ ছালাম আজ সারা চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের গর্ব। কর্মনিষ্ঠা, সততা, যোগ‍্যতা, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা দিয়ে তিনি মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। উন্নয়ন কর্মকা-ে স্বীয় সফলতায় তিনি আজ সারা দেশের জন‍্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে মোহরাবাসীকে গৌরবান্বিত করেছেন, চট্টগ্রামকে করেছেন আলোকিত।

সমাবেশে সংবর্ধিত প্রধান অতিথি আবদুচ ছালাম তার অভিব‍্যাক্তি জানাতে গিয়ে বলেন, হালদা ও কর্ণফুলী পাড়ের নিভৃত পল্লী মোহরায় জন্ম আমার। দুই নদীর অবিরাম ছুটে চলা দেখেই আমার বেড়ে ওঠা। ছোট বড় কোন প্রতিবন্ধকতা নদীর ছুটে চলা থামাতে পারেনা বরং তরঙ্গায়িত জলরাশি তার মাধূর্যকে ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তুলে। তেমনি যে কোন পরিস্থিতিতে এগিয়ে চলেছি আমি, কখনো থামিনি। এতে আমার প্রেরণা আমার মা, আমার জন্মভূমি মোহরার পরিবেশ। অনেকে উন্নত জীবন যাপনের জন‍্য গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়ে বসবাস করেন। আমি কখনোই এ গ্রামকে ছাড়তে পারিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব আজ আমার উপর ন‍্যাস্ত। উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে দিন রাত কাজ করছি আমি। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি আমার ব‍্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া বিসর্জন দিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছি। বিগত ৮বছরে আমার তত্বাবধানে চট্টগ্রামে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হতে চলেছে। সুরক্ষিত, সুশৃঙ্খল, আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন বিশ্বমানের চট্টগ্রাম না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার চোখের ঘুমকে হারাম করে দিয়েছি। আমি কোন অবস্থাতেই ক্ষান্ত  হবো না।

এলাকার প্রবীণদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমার  ছোটবেলার সেই গ্রামটি আজ শহর হয়েছে। নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে মোহরা ওয়ার্ডের উন্নয়ন। ক্লান্তিতে, অবসাদে রাত্রিযাপনে এখনো আমাকে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দিতে পারে একমাত্র আমার প্রিয় মোহরা। আজ মোহরায় সংবর্ধিত হয়ে আরো বেশি কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ হলাম আমি। মাতৃঋণ যেমন পরিশোধ করা যায় না, তেমনি জন্মভূমি মোহরার ঋণও শোধ করা যাবে না। আমি এলাকাবাসীর প্রতি চির কৃতজ্ঞ হয়ে থাকব।

সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানা প্রদান করা হয়।

আলহাজ মোহাম্মদ ইউনুছ কোম্পানীর সভাপতিত্বে ও মো. জমির উদ্দিনের সঞ্চালায় অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর, মো. এম.এ মালেক খান, মোহাম্মদ হোসেন, আবদুল মাবুদ, হাজী মো. মুছা খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি সামশুল আলম, সমাজ পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হোসেন বাহাদুর, মো. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মো. রিদুয়ান মিয়া, মো. আনোয়ারুল আমিন, মো. নাছির উদ্দিন, সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু, জসীম উদ্দিন, আবুল মনছুর, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম. শামশেদ খোকন, মো. সিরাজদৌল্লা, মো. ইকবাল, দিদার মিয়া, দিদার খান, আজম খান, বেগম ফাতেমা আজাদ,মো. আমিন, মৌলানা মো. পারভেজ, এস.এম. মঞ্জু, আবদুল মান্নান, মো. আবু, আলী রাশেদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান রনি, নুরু ইসলাম নুরু প্রমুখ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply