মৌলভীবাজারে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের বর্ধিত সভা
মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫ এর বর্ধিত সভা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় কোর্ট রোডস্থ কার্যালয়ে জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বক্তারা বলেন মোটা চালের মূল্য ৫০-৫২ টাকায় উঠার পর এখন প্রতিদিনই পিয়াজের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়াছে। চাল, ডাল, তেল, লবনসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। পাশাপাশি কাঁচাবাজরের শাক সবজির অগ্নিমূল্য জনজীবনে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার সৃস্টি করছে। তার উপর সরকার বিদ্যুতের পর এখন আবার জ্বালানিতেলের মূল্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে। বৈশ্বিক মূল্য এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির প্রভাব বিবেচনা করে বিদ্যুত ও জ্বালানিতেলের মূল্য কমানো উচিত। ক্ষমতাশীন দল জনজীবনের এই সমস্যাগুলো উপেক্ষা করে প্রভূ সাম্রাজ্যবাদের আশীর্বাদ নিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে এবং সাম্রাজ্যবাদের অপর দালাল ২০ দলীয় জোটও জনজীবনের সমস্যা-সংকটকে পাশ কাটিয়ে যেনতেন উপায়ে প্রভূ সাম্রাজ্যবাদের আশীর্বাদ নিয়ে ক্ষমতা মরিয়া। বক্তারা জনজীবনের সমস্যা-সংকট নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতি আহবান জানান। জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ তারেশ বিশ্বাস সুমন, সদর উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ কামাল মিয়া ও কবির মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ঝন্টু দাস প্রমূখ।
বর্ধিত সভা থেকে শ্রমআইন লঙ্ঘন করে বিনা বেতনে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, হোটেল সেক্টরে শ্রমিকদের বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণ ন্যূনতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা, ঢাকার ঘরোয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে কিশোর শ্রমিক রিয়াদের খুনি আরিফুল ইসলাম সোহেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু, ৮ ঘন্টা কর্মদিবস, নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্রসহ শ্রমআইন বাস্তবায়ন, শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত ও যুগ্ম-শ্রম পরিচালকের কার্যালয় স্থাপন করার দাবি জানানো হয়।
সভায় মহান রুশ বিপ্লবের শততম বার্ষিকী উদযাপন করার লক্ষ্যে ৭ নভেম্বর লালপতাকা র্যালী ও সমাবেশ পালনসহ মহান রুশ বিপ্লবের তাৎপর্য তুলে ধরে ১৭ নভেম্বর কুলাউড়ায়, ২০ নভেম্বর শেরপুরে এবং ২৩ নভেম্বর জেলা শহরে আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।