গাজীপুরে তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাংচুর করেছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
উত্তেজিত ছাত্ররা হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাংচুর এবং আউট সোসিং কর্মচারীদের মারধর করে। এ সময় ছাত্ররা হাসপাতালের অনিয়ম অব্যবস্থার প্রতিবাদ জানায় এবং আউট সোর্সিং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।
১৬ অক্টোবর সোমবার দুপুরে পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন এক্সরে কক্ষে তার মায়ের এক্সরে করাতে গিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ
হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানা গেছে, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষুব্ধ। দুপুরে মেডিকেল কলেজের এক ছাত্র তার মাকে এক্সরে করাতে হাসপাতালের এক্সরে কক্ষে নিয়ে যায়। কাগজের চিকিৎসকের স্বাক্ষর না থাকায় টেনিশিয়ান মোফাজ্জল হোসেন খান চিকিৎসকের স্বাক্ষর নিয়ে পরদিন আসতে বলে। এতে ওই ছাত্র ফিরে আসে। পরে ছাত্ররা জোট বেধে মিছিলসহ এক্সরে কক্ষে গিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় সেখানে উপস্থিত আউটসোসিং কর্মচারী শাহীন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী এবং আউটসোসিং কর্মচারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি বেধে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র জানান, আউটসোসিং কর্মচারীদের দূর্ব্যবহারে তারা অতিষ্ঠ। ক্ষিপ্ত ছাত্ররা তাদের নানা অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্ররা ভাংচুর ও মিছিল শুরু করলে হাসপাতালে আসা নারী-পুরুষ এবং শিশুরা রোগীরা ছুটাছুটি করে পালাতে থাকে। এ সময় আউটসোসিং কর্মচারীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। পরে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এক্সরে টেকনিশিয়ান মোফাজ্জল হোসেন জানান, একজন ছাত্র চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছাড়া এসে এক্সরে করতে বলে। চিকিৎসকের স্বাক্ষর নিয়ে পরদিন আসতে বললে ওই ছাত্র চলে যায়। ঘন্টা খানেক পর ছাত্ররা দল বেধে এসে ভাংচুর শুরু করে।
জয়দেবপুর থানার এসআই মোঃ আব্দুল মালেক জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস জানান, ছাত্র ও আউটসোর্সিং কর্মীদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটি বিছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটমাট করা হবে।