৩ মে ২০২৪ / ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:০৩/ শুক্রবার
মে ৩, ২০২৪ ১:০৩ অপরাহ্ণ

আমতলীতে বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীর শিশুদের দিয়ে ইয়াবা বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ

     

 

 

কে.এম.রিয়াজুল ইসলাম,বরগুনা

বরগুনার আমতলীতে পারিবারিক জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে শিশুদের দিয়ে ইয়াবা বিক্রি ও সেবনে বাধ্য করার মিথ্যা অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চলাাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক এর পিতা ওহাব তালুকদার এবং মাসুম তালুকদার দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। উভয় পক্ষের মধ্যে ইতিমধ্যে আদালতে একাধিক ফৌজদারী মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। পারিবারিক বিরোধের বিষয়টি অতি তিব্র আকার ধারণ করায় মাসুম তালুকদারের পক্ষের নিজাম উদ্দিন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন- চলাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক একজন মাদক ব্যবসায়ী। সে বিদ্যালয়ের ৪র্থ-শ্রেনী ও ৫ম- শ্রেনীর শিশুদের দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করে ও শিশুদের ইয়াবা সেবনে বাধ্য করেন।
এব্যাপারে নিজাম উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে (০১৭২৯৮৮৯৯২৭) আলাপ কালে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ৪র্থ-শ্রেনী ও ৫ম- শ্রেনীর শিশুদের দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করানো ও শিশুদের ইয়াবা সেবনে বাধ্য করানোর বিষয়টি তিনি কখনও লিখিত ভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা সভাপতির নিকট জানাননি এবং পূর্বে কখনও তাদের নিকট এধরনের অভিযোগ করেননি। এছাড়াও বিষয়টি তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান,মেম্বর,উপজেলা শিক্ষা অফিসার এমনকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ও তিনি কখনও লিখিত ভাবে জানাননি এবং অন্য কোন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরেও লিখিত ভাবে কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। তাছাড়া চলাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক যে একজন মাদক ব্যবসায়ী সে বিসয়েও তিনি ইতি পূর্বে কখনও কারও বরাবরে কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মাদকের কোন মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে নিজাম বলেন রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মাদকের কোন মামলা নাই।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সভাপতি, স্থানীয় ইউপি সদস্যের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তাহারা সকলেই বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের ৪র্থ-শ্রেনী ও ৫ম- শ্রেনীর শিশুদের দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করানো ও শিশুদের ইয়াবা সেবনে বাধ্য করানোর বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা, কোমলমতি শিশুদের বিরুদ্ধে এধরনের অপবাদ সত্যিই দুঃখ জনক। জমিজমা নিয়া উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে এবং কোর্টে ও আদালতে একাধিক মামলা এখনও চলমান আছে। কিন্তু নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগে যে সংবাদ সম্মেলন করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ।
এছাড়াও সরেজমিনে গিয়ে চলাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী আব্দুর রাজ্জাক একজন মাদক ব্যবসায়ী ও সে বিদ্যালয়ের ৪র্থ-শ্রেনী এবং ৫ম- শ্রেনীর শিশুদের দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করে ও শিশুদের ইয়াবা সেবনে বাধ্য করানোর বিষয়ে ছাত্র অভিবাবক,গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ,এলাকা সূত্রে ও স্থানীয় ভাবে এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। কোমলমতি শিশুদের দিয়ে ইয়াবা বিক্রি ও সেবনের মিথ্যা অভিযোগের বিষয়টি প্রশাসনের আমলে নিয়ে অপবাদকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া একান্ত জরুরী।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply