২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:০৩/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৭:০৩ অপরাহ্ণ

বায়তুশ শরফে পবিত্র আশুরা উদ্যাপন উপলক্ষে শাহাদাতে কারবালা মাহফিল সম্পন্ন

     

বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ কর্তৃক পবিত্র আশুরা উদ্যাপন উপলক্ষে পবিত্র শাহাদাতে কারবালা মাহফিল ১০ই মুহররাম ১লা অক্টোবর রবিবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ জামে মসজিদে বিকাল ৩টায় বায়তুশ শরফের মাননীয় পীর ছাহেব বাহরুল উলুম শাহসুফী আলহাজ্জ হযরত মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (মঃজিঃআ) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আলোচক ছিলেন- মাওলানা মীম ছিদ্দিক আহমদ ফারুকী, মাওলানা কাজী নাছির উদ্দিন, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মজলিসুল উলামা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, মাওলানা কাজী জাফর আহমদ, মাওলানা নুরুল আলম ফারুকী, মাওলানা শফিক আহমদ নাঈমী, মাওলানা নুরুল হুদা আল কাদেরী, মাওলানা সালাহ উদ্দিন বেলাল, মাওলানা আবদুশ শাকুর, মাওলানা মোঃ সা’দ, মাওলানা ফাইজুল কবির বদরী, মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব্ লুৎফুল করীম, মাসিক দ্বীন দুনিয়ার সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ প্রমুখ।
মাহফিল পরিচালনা করেন- মাওলানা কাজী শিহাব উদ্দিন ও মাওলানা মুহাম্মদ মুছা।
উক্ত মাহফিলে আলোচকরা বলেন- পবিত্র আশুরা পালন আরম্ভ হয়েছে ২য় হিজরীর মহরম মাস হতে। আর শাহাদাতে কারবালা সংঘটিত হয়েছে ৬১ হিজরীর মুহররম মাসে। ৬১ হিজরীতে এসে আশুরা ও শাহাদাতে কারবালা এক মোহনায় মিলিত হয়েছে। বিগত ১৪শত বছর যাবৎ আশুরার রোজা এবং রাতে ইবাদাত এবং শাহাদাতে কারবালার স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কারণ কারবালা হৃদয়বিদারক ও লোমহর্ষক আত্মত্যাগের মধ্যে রয়েছে অনুস্মরণীয় আদর্শ ও শিক্ষা। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের ক্রান্তিকালে অনেক করণীয় ও বর্জনীয় নির্দেশনা এ আশুরায় বিদ্যমান। এদিনটি আমাদের মাঝে প্রতি বছর আগমন করে। তাই, এই দিনের আবেদন চির অম্লান। দুর্বল, অসহায় ও নির্যাতিত মানবতার সহায় আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের কালজয়ী আদর্শ। শক্তি ও ক্ষমতার জোরে যারা নেশাগ্রস্ত তাদের বিরুদ্ধে অসহায় দুর্বল মানবতার অপ্রতিরুদ্ধ প্রতিবাদের দিন আশুরা। অন্যায় ও অসত্যের পুঁজারী পাপিষ্ঠ ইয়াজীদের বিরুদ্ধে ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু’র প্রতিবাদ ও সংগ্রামের কথা স্মরণ করলে আজো ঈমানী চেতনায় জোয়ার আসে। তাই আমরা ঈমানদার মুসলমান হিসেবে আশুরায় ইবাদাতও করব, সাথে সাথে শাহাদাতে কারবালার স্মৃতিচারণ করে আউলাদে রাসূলের প্রতি ভক্তি, মুহাব্বতের অনুপ্রেরণাও অর্জন করব। ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু ‘এজিদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ইসলামী আদর্শ রক্ষার্থে। শাহাদাত বরণের মাধ্যমে তিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই আমরা আজ শপথ করব অন্যায় ও অসত্যের সাথে কখনো আপোষ করব না। আর এইটাই হল প্রকৃত কারবালার শিক্ষা। আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় হযরত কেবলা (রহঃ) ও মরহুম হুজুর কেবলা (রহঃ) এদের নীতিও এই রকম ছিল।
পরিশেষে হুজুর কেবলা (মঃজিঃআঃ) দেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply