৬০, রওশন লজ, উত্তর নালাপাড়া দরবারে জিলানী শরীফে যর্থাযোগ্য মর্যাদায় দুই দিন ব্যাপী পবিত্র মেরাজুন্নবী (দ.) ওরশে খাজা গরীবে নেওয়াজ (রা.) এবং ওরশে হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রা.) ২৭ এবং ২৮ জানুয়ারি, উদযাপিত হয়।

মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন হযরত শাহ্ সূফি মুহাম্মদ জুনাইদ (মা.) ,প্রধান ওয়াজেন হিসেবে তকরির পেশ করেন হালিশহর তৈয়্যবীয়া মাদ্রাসার সিনিয়র আরবি প্রভাষক হযরত মাওলানা ইউনুস তৈয়্যবী যুক্তিবাদী, বিশেষ অতিথি মৌলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন আল কাদেরী , মৌলানা মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সাংবাদিক শেখ নজরুর ইসলাম মাহমুদ ,দরবারের পৃষ্ঠপোষক ইঞ্জিনিযার এ এন এম মতুর্জা, জাবির বিন জুনাইদ সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবগ। কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো খতমে কুরআন, দরুদে নারিয়া, খতমে গাউসিয়া, খতমে খাজেগান, ওয়াজ মাহফিল এবং জিকিরে মোস্তফা (দ.) মাহফিল ।

জিকিরে মুস্তফা (দ.) পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নাত খাঁ মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন কাদেরি, মুহাম্মদ মাসুদ রেজা কাদেরি, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। সমাপনী দিবসে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন এশিয়া বিখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র আরবি প্রভাষক হযরত মাওলানা গোলাম মুস্তফা মো. নুরন্নবী (মা.)। খতম সমূহের মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌলানা মুহাম্মদ হোছাইন জেহাদী এবং মৌলানা মুহাম্মদ সফিউর রহমান কাদেরি। মাহফিলের পরিচালনায় ছিলেন তামজিদ ইবনে আমান। বক্তারা বলেন,’পবিত্র মেরাজ প্রিয় নবী (দ.) শ্রেষ্ঠতম মুজেজা। ইসলামী আকীদার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রমাণ ঐতিহাসিক এ ঘটনার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। খাজা গরীবে নেওয়াজ (রা.) পবিত্র মেরাজ চেতনায় জাতিকে মুক্তি ও কল্যাণের পথ দেখিয়েছেন।হযরত শাহ মখদুম বাংলাদেশে এসে ইসলামের খুটিকে আরও মজবুত করেছিলেন। দরবারের আগামী মাহফিল ১৪ ই শাবান, হিজরি, ১৩ ফেব্রæয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার পবিত্র লাইলাতুল বরাত এবং ওরশে বায়েজিদ বোস্Íামী (রা.) এর ফাতেহা শরীফ উদযাপিত হবে। সবশেষে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে এবং ফিলিস্তিন সহ সকল মুসলিম ইম্ম্াহর জন্য বিশেষ ভাবে দোয়া করা হয়।

শেয়ার করুনঃ