একটিতে প্রধান জেলা প্রশাসক ও অপরটিতে প্রবীণ সাংবাদিক কাদেরী শওকত

বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা নিরসন করার লক্ষ্যে তদন্ত করে ১২ নভেম্বর ২০২৪ অপরাহ্নে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি সংক্ষিপ্ত তদন্ত প্রতিবেদন ও দুটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়। একটি কমিটিতে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও অপরটিতে প্রবীণ সাংবাদিক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

জানা গেছে , চলতি সনের  ৫ আগস্ট থেকে গত তিন মাসেরও বেশী ধরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বন্ধ রয়েছে। এই ক্লাবকে নিয়ে বিবাদমান দু’টি পক্ষের মধ্যকার দ্বন্ধ-সংঘাত, হানাহানি, আক্রমন-পাল্টা আক্রমনের উপক্রম ও বিরুপ সমালোচনার ঘটনাও ঘটেছে। ৬ই আগস্ট মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, সম্পাদক-সাংবাদিক-জনতা এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শরীক ছাত্র সমাজের বিশাল সমাবেশে ক্লাবের তৎসময়ে সমাসীন কমিটিকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে বিলুপ্ত করে তৎস্থলে ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিল নির্বাহী পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য, প্রবীণ সাংবাদিক নেতা মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতকে আহ্বায়ক করে একটি অন্তর্বর্তী কমিটি ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বিলুপ্ত কমিটি এবং অন্তর্বর্তী কমিটি এই উভয় কমিটি দুটিতে বিএনপি-জামাত সমর্থক একাধিক সাংবাদিক সদস্য থাকায় সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। তদন্তের সময় উভয় পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও প্রমাণ দেখিয়েছে ভিডিও ফুটেজ ও ফেসবুকের স্ক্রীনশর্টের মাধ্যমে। এক পক্ষ দেখিয়েছে প্রেসক্লাবের কমিটির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিভাবে বক্তব্যের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার ও আন্দোলন দমনে ছাত্র-জনতাকে উস্কানি দিয়েছে। অপর পক্ষ এবং নিজেদের পক্ষ থেকেও কয়েকজন দেখিয়েছেন ফ্যাসিস্ট বিরোধী পক্ষের অন্তর্বর্তী কমিটির মধ্যে ফ্যাসিস্টের অনুচর-গুপ্তচর রয়েছে। একজন ফেসবুকের স্ক্রীনশট দেখিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, সে ছাত্রলীগ করতো। এ বিষয়গুলো উভয় পক্ষ নিজেদের মত করে নিষ্পত্তি করতে পারবে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার অভিমত যে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বন্ধ রেখে সদস্যদের কষ্ট দেবার অধিকার কারো, এমনকি সরকার পক্ষেরও নেই। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব খুলে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে হবে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের শতাধিক প্রবীণ সদস্যদের (যাদের বয়স ষাট থেকে পঁচাশি বছর পর্যন্ত) একটি সংগঠন রয়েছে। যে সংগঠনের নাম ‘সিনিয়র জার্নালিস্ট ফোরাম’। প্রেসক্লাব ইস্যু নিয়ে এ ফোরামে বিভক্তি দেখা দেয় ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়ে। আগ্রহ থাকলে এ ফোরাম ঐক্যবদ্ধভাবে প্রেসক্লাব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে পারতো। এ ফোরামের আহ্বায়ক হলেন প্রেস কাউন্সিলস্ সাবেক সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত ও সদস্য সচিব হলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব স.ম. ইব্রাহিম। আওয়ামী লীগ সমর্থক সাংবাদিকরা ফ্যাসিস্টদের দোসর আখ্যা নিয়ে ক্লাব ছেড়ে চলে গিয়েছে। এরপরও দীর্ঘ তিন মাসের অধিক সময় বন্ধ থাকায় ক্লাবের প্রায় তিনশত নীরহ সাংবাদিক সীমাহীন কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব একদিনের জন্যও বন্ধ না থাকলেও শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সরকার পরিবর্তনের পরও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব কেন বন্ধ আছে এর অন্তর্নিহিত কারণ উদ্ঘাটন করে একটি সুপারিশ পেশ করার জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কয়েকজন সদস্য অনুরোধ জানান। মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি এস.এম. জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বেশ কয়েকজন প্রবীণ-তরুণ স্থায়ী সদস্য, অসদস্য সাংবাদিক-সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে সহায়ক ও অন্তর্বর্তী- দুটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব সহ সংক্ষিপ্ত সুপারিশ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে পেশ করা হয়।
সংক্ষিপ্ত সুপারিশ ও প্রস্তাবিত কমিটি দু’টি হল
দীর্ঘ ৩ মাস যাবত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বন্ধ থাকায় যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসন এবং সদস্যদের মধ্যে স্বস্থি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গত এক মাস ধরে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন এবং গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে চালিত আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয় ৫ই আগস্ট, ২০২৪ খ্রি. সোমবার অপরাহ্নে শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে। ৬ই আগস্ট চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ক্লাবের নীতিবান স্থায়ী সদস্য, সাংবাদিক-সম্পাদক- জনতার বিশাল সমাবেশে ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট সাবেক কমিটি বিলুপ্ত করে একটি অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সর্বশেষ আইনগত অবস্থান জানিয়ে সমাজসেবা দফতর থেকে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত ও সদস্য সচিব গোলাম মাওলা মুরাদকে চিঠি দেয়া হয়েছে। পূর্বের বিলুপ্ত কমিটির তৎপরতা অব্যাহত রাখায় অন্তর্বর্তী কমিটি দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হয়। গত ২৭ শে অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. তারিখে জেলা প্রশাসক জনাবা ফরিদা খানম ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি ভেঙে দেবার আদেশ দেয়ায় অন্তর্বর্তী কমিটি দায়িত্ব পালনে আইনগত কোন বাধা নেই। এখন থেকে অন্তর্বর্তী কমিটি দায়িত্ব পালন করতে পারবে। তবে, অন্তর্বর্তী কমিটির সকল সদস্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য না হবার কারণে আইনগত জটিলতা সৃষ্টির আশংকায় তাদের স্থলে ক্লাবের স্থায়ী সদস্যদের মধ্য থেকে তা পূরণ করে এবং তাদেরকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সহায়ক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
৬ই আগস্ট ঘোষিত ও গঠিত অন্তর্বর্তী কমিটি রদবদল সহ এবং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সহায়ক কমিটির কর্মকর্তা-সদস্যদের নাম অতিসত্বর ঘোষণার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রতিবেদনে প্রস্তাব ও সুপারিশ করা হয়। সহায়ক কমিটি ক্লাব পরিচালনায় সার্বিকভাবে অন্তর্বর্তী কমিটিকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবে।

প্রস্তাবিত কমিটি দুটি হল:
সহায়ক কমিটি উপদেষ্টা জনাব আ.ফ.ম. খালিদ হোসেন, (মাননীয় উপদেষ্টা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। চট্টগ্রাম থেকে মনোনীত উপদেষ্টা/মন্ত্রী পরিষদ সদস্য), এরশাদ মজুমদার (চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের একমাত্র জীবিত প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য), চেয়ারম্যান জনাব ফরিদা খানম (মাননীয় জেলা প্রশাসক), নির্বাহী চেয়ারম্যান ওসমান গণি মনসুর (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব), কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (সভাপতি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন), কাজী আবুল মনুসুর (সভাপতি, চট্টগ্রাম রিপোর্টাস ফোরাম), সদস্য সচিব সালেহ নোমান (সাধারণ সম্পাদক, সিএমইউ), সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসান ফেরদৌস (সাবেক সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন), সদস্যবৃন্দ, জাহিদুল করিম কচি (সহ-সভাপতি, বিএফইউজে), শহীদ উল আলম (সহ-সভাপতি, বিএফইউজে), শামসুল ইসলাম (সাধারণ সম্পাদক, সিইউজে), রুবেল খান (সিনিয়র সহ-সভাপতি, সিইউজে), মহসিন চৌধুরী (প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব), আমিনুল ইসলাম (সিএমইউ), সাইফুল ইসলাম শিল্পী (সিএমইউ), আলী হোসেন সম্পাদক সাপ্তাহিক পূর্ব বাংলা ও নির্বাহী সভাপতি চট্টগ্রাম এডিটরস ক্লাব, এস.এম. জামাল উদ্দিন, (সভাপতি, মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা), হাসান মুকুল (ব্যুরো প্রধান, দৈনিক দিনকাল), জালাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, (সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব), অ্যাডভোকেট আবিদ হোসেন, (সহ-সভাপতি,চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি), কামরুল হুদা, (সভাপতি, বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক জনতা ঐক্য পরিষদ), আলমগীর নুর (বৈষম্য বিরোধী পেশাদার সাংবাদিক ঐক্য), আরিয়ান লেলিন (বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য), শিব্বির আহমদ ওসমান (সভাপতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরাম), গিয়াস উদ্দিন লিটন (সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরাম), শফিকুল ইসলাম (বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য), আলহাজ্ব রফিক আহমদ (একুশে পদক প্রাপ্ত, সমাজসেবক, আজীবন সদস্য, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব), মোহাম্মদ রাশেদ (আজীবন সদস্য, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব), আবু সুফিয়ান (সিএমইউজে), আশীষ কুমার নন্দী (সম্পাদক দি ক্রাইম), শতদল বড়–য়া (স্থায়ী সদস্য, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব), জিয়াউল হক জিয়া (সম্পাদক, দেশ জনতা), জসিম উদ্দিন চৌধুরী (সম্পাদক, শিক্ষা অন্বেষণ), মোহাম্মদ আজম খান (সভাপতি, চট্টগ্রাম রিপোর্টাস ক্লাব), ইমরান সিকদার (সম্পাদক, বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক জনতা ঐক্য পরিষদ), কিরণ শর্মা (সভাপতি, চট্টগ্রাম রিপোর্টার ইউনিটি), অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান (সভাপতি, চট্টগ্রমা অনলাইন প্রেসক্লাব), হাবিব রেজা (চট্টগ্রাম প্রধান, বিজয় টিভি), কামাল পারভেজ (সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠক), নজরুল ইসলাম (সদস্য সচিব, বৈষম্যবিরোধী পেশাদার সাংবাদিক ঐক্য), এস.এম. আকাশ (কেন্দ্রীয় সদস্য, মিডিয়া সেল), তৌহিদ খান (সম্পাদক, কর্ণফুলী সংবাদ), সৈয়দ মিজান সমরকান্দি (সভাপতি সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদ), এস.এম. পিন্টু (সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠক), ইমতিয়াজ ফারুকী (দৈনিক বিজয়), শেখ ফরমান উল্লাহ চৌধুরী (সম্পাদক, চট্টগ্রাম ভয়েস)।
অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি আহ্বায়ক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত (সাবেক নির্বাহী সদস্য, ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস্ ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল), সদস্য সচিব গোলাম মাওলা মুরাদ (সাবেক বিভাগীয় সম্পাদক, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব), সদস্য শামসুল হক হায়দরী (সাবেক সভাপতি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন), ইস্কান্দর আলী চৌধুরী (সাবেক সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব), স্বপন কুমার মল্লিক (সাবেক চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিংস সোসাইটি), সুলতান আহমদ আশরাফী (সাবেক সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন), মুস্তফা নঈম (চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতি), সাইফুল্লাহ চৌধুরী (ক্রীড়া সংগঠক, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব), মাখন লাল সরকার (প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক, সিনিয়র জার্নালিস্ট ফোরাম), জিয়াউদ্দিন মুহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ (সম্পাদক, দৈনিক নয়াবাংলা), সাইফুল আলম সিদ্দিকী (সম্পাদক, দৈনিক পূর্বতারা)।

শেয়ার করুনঃ