৫ মে ২০২৪ / ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:৫৩/ রবিবার
মে ৫, ২০২৪ ৯:৫৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার মহাসড়কে কমেছে যানজট

     

সাদ্দাম হোসেন
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শান্তির হাট, আমজুর হাট এলাকায় সম্প্রতি কমেছে যানজট ।যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়েছে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের, সেখানে বাঁধাহীনভাবে এখন  চলছে সব প্রকার গাড়ি।

এব্যাপারে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত কয়েকটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী কোচ ও লোকাল বাস চালকদের সাথে কথা বললে তারা এই মহাসড়কে যানজট আগের চেয়ে অনেক কমেছে বলে জানান।

শান্তির হাট এলাকার লোকাল বাস চালক তৌহিদুল ইসলাম পূর্ব বাংলাকে জানান, এই স্পটে আগে ঘন্টার পর ঘন্টা  যাত্রীদের বসে থাকতে হতো ।এখন যানজট তেমন একটা নেই বললেই চলে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মোঃ মহিউদ্দিন মুরাদ পূর্ব বাংলাকে বলেন, বর্তমান নতুন অফিসার ইনচার্জ ও তার টিম এর সদস্যদের একনিষ্ঠতায় বর্তমানে শান্তির হাট থেকে পটিয়া সদর পর্যন্ত পটিয়া হাইওয়ে  থানাধীন মহাসড়কে আগের চেয়ে তুলনামূলক স্বস্তি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন ও সাধারণ যাত্রীরা। কমছে ট্রাফিক জ্যামও।

জানা যায়, এক সময় যানজটে আটকে থাকা শত শত যানবাহনের দীর্ঘ সারি থাকত। যানবাহনের অনিয়মতান্ত্রিক পার্কিং ও যত্রতত্র থেমে যাত্রী ওঠানো-নামানোয় নিত্যদিন জ্যামে যাত্রীদের দূর্বিষহ অবস্থায় পড়তে হতো। সকালে পটিয়া আদালতে যাওয়া সাধারণ যাত্রী, স্কুল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াতের সময়ে অসংখ্য যানবাহনের ভীড়ে এক নারকীয় যানজটের সৃষ্টি করতো।সরকারি ছুটির দিনে গাড়ির চাপ বেশি হলে তীব্র যানজট লেগে থাকতো। তাছাড়া মাল বোঝাই ট্রাক বিকেল হলে তো কথাই নেই। যানজটে আটকা পড়ে দীর্ঘ সময় চলে যেতো। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রী ও চালকদের।যেখানে পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে চট্টগ্রাম – কক্সবাজার মহাসড়কে পাল্টে গেছে চিরচেনা যানজটের দৃশ্য। ফলে বর্তমানে সহজেই গন্ত্যব্যে পৌঁছাতে পারছেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, ইন্দ্র পুল এলাকা থেকে বাইপাস সড়কটি চালু হওয়ায় কক্সবাজার ও বান্দরবানের যানবাহন গুলোকে পটিয়া সদরে ঘন্টার পর ঘন্টা আর যানজটে পড়তে হচ্ছে না।

শ্যামলী পরিবহনের চালক মঞ্জু বলেন,  মহাসড়কে আগে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। অসহ্য যন্ত্রনাও সইতে হতো আমাদের। এখন আর সেই দূর্ভোগ নেই। সহজে পথ চলা যাচ্ছে।

জানা যায়, পটিয়া হাইওয়ে থানায় ১৪ আগস্ট ‘২২ যোগদান করেছেন অফিসার ইনচার্জ হিসেবে স্নেহাংশু বিকাশ সরকার।

মহাসড়কে শান্তির হাট এলাকার যানজট আগের চেয়ে কমে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, পটিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ স্নেহাংশু বিকাশ সরকার পূর্ব বাংলাকে বলেন,পটিয়া হাইওয়ে থানায় আমি যোগদানের পূর্বে আমাকে আমার কর্তৃপক্ষ কিছু চ্যালেঞ্জের কথা আমাকে বলে দিয়েছিলেন। তাই আমি যোগদান করার পরে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে কাজ শুরু করি। প্রতিদিন সকালে আমার অফিসারদের ও সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে সারাদিন ওই সব স্পটে অভিযান পরিচালনা করি। শুরুটা করেছি এবং এই অল্প সময়ে নিশ্চয়ই সাধারণ মানুষ আগের থেকে তফাৎ অনুভব করতে পারছেন। যানজট অনেক কমে গেছে, পাশাপাশি কমেছে দূর্ঘটনার হারও। আশা করছি এভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারলে আমার কর্তৃপক্ষ যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমাকে পাঠিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, অপরাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা পুলিশ প্রশাসনকে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য পটিয়া হাইওয়ে থানার নেতৃত্বে শান্তির হাট এলাকায় কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন স্হানীয় চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন সবুজ । শান্তির হাট এলাকায় প্রতিটি বন্ধের দিন এবং উৎসব পালনে যানজট নিরসন করতে গিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের হিমসিম খেতে হতো। যানজট নিরসন করতে গিয়ে আমাদের খুব কষ্ট করতে হয়েছে। এক মিনিটের জন্য রাস্তায় পাশে দাৎড়ানোর সুযোগ মিলেনি। সারাক্ষণ ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন করার পর সকলের সহযোগিতায় গাড়ি এক মিনিটের জন্য কোথাও দাড়াচ্ছেনা। নেই চিরচেনা যানজটের দৃশ্য। দায়িত্ব পালন করতেও আমার অফিসারদের ও সঙ্গীয় ফোর্সদের কোন কষ্ট হচ্ছে না। আশা করি এই মহাসড়কে কোন যানজট হবেনা।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply