৫ মে ২০২৪ / ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:৫২/ রবিবার
মে ৫, ২০২৪ ১০:৫২ অপরাহ্ণ

প্রবীণ গণমাধ্যমকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত হলো চট্টগ্রাম সিনিয়রস জার্নালিস্ট ফোরাম

     

 

সবুজ অরণ্য

কারো বয়সের যোগফল পেড়িয়ে গেছে আশির কোটা। কারোবা আবার সত্তোর ছাড়িয়ে হীরক জয়ন্তীর পথে পথচলা শুরু। কারো রয়েছে তিন কুড়ি পেরুনো স্মৃতির ডানা। কেউবা এখন শতক ছোঁয়ার আশায় করছে দিন পার। বয়সের তারতম্য যায় হোকনা কেন
তাঁরা সবাই মননে-সৃজনে-চিন্তনে তুখোড় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।

এখনো পড়ন্ত বিকেলে দেয়ালের কার্ণিসে যখন খেলা করে টগবগে তারুণ্য মন, স্মৃতিরা পেখম মেলে সমৃদ্ধ সোনালু অতীতের সুখানুভূতির আঙ্গিনায়।

যারা পেড়িয়েছে ষাট। কিংবা ষাটোর্ধ আর পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীদের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব’র স্থায়ী সদস্য। বিদায়ী জৈষ্ঠ্যের নগর পোড়া দহন বেলায়
একত্রিত হয় তাঁরা সবাই।

শনিবার (১১জুন) সকাল এগারোটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব’র দ্বিতীয় তলার সুলতান আহমদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব ও ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস্’র নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত।

সাংবাদিক মাখন লাল সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রবীণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যা ও বিষয়ের উপর আলোকপাত করে সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক পূর্বকোণ’র সাবেক প্রধান সহ-সম্পাদক ইসকান্দর আলী চৌধুরী, দৈনিক পূর্বকোণ’র সাবেক সহকারী সম্পাদক স্বপন দত্ত, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক ইকবাল, বর্তমান সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, দৈনিক আজাদীর সাবেক সিনিয়র সহ-সম্পাদক সুলতান আহমদ আশরাফ, দৈনিক পূর্বকোণ’র সাবেক সহকারী সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পিন্টু।

এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, দৈনিক আজকের চট্টগ্রাম সম্পাদক আবদুল হাই, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ, এ.কে এম কমরুল ইসলাম চৌধুরী, বাবুল চৌধুরী, প্রবীর নন্দী, মাহবুব-উর-রহমান, শতদল বড়ুয়া, ফটো সাংবাদিক সমিতির প্রবীণ নেতা ও বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, পংকজ কুমার দস্তিদার, সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ খালেদ, দেবপ্রসাদ দাশ দেবু, তাপস বড়ুয়া (রুমু), তপন দাশ বর্মন, গোলাম সরওয়ার, জামাল উদ্দিন ইউসুফ, রোকসারুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম শহীদ ও আফজাল রহিম সিদ্দিকী।

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা ও অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ।

ঘোষণা পত্রে বলা হয়, প্রবীণরা কারো করুণার পাত্র নন। যৌবন ও বিগত জীবনে আজকের প্রবীণরাই দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র তৈরী করে দিয়েছেন। গণমানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ বিভিন্ন স্তরে প্রবীণরা অবজ্ঞা, উপেক্ষা, বঞ্চনা, লাঞ্চনা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নৈতিকতা বোধের অবক্ষয় ও ধ্বসের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রবীণ বয়সে একটু সেবা, একটু শুশ্রুষা কোন দয়ার দান নয়। বয়োজ্যেষ্ঠ, পরিপক্ক মানুষ হিসেবে রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার, স্বজনদের কাছে এটি অধিকার।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ : ১৫ (ঘ) অনুসারে প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্র অস্বীকারবদ্ধ। প্রবীণ নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, পুনর্বাসন অধিকার নিশ্চিত করার কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও প্রবীণ সাংবাদিকরা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। প্রবীণ সাংবাদিকদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমেই প্রবীণ সাংবাদিকদেরকে অবহেলার ভুল শোধরিয়ে দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বয়স্কদের নির্মম ও অসম্মানজনক আচরণ করে তাদের মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এই নির্যাতন বন্ধে দেশের সকল প্রবীণ সাংবাদিককে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার ও প্রতিবাদী হতে হবে।

অধিকার কেউ উপহার দেয় না। অধিকার আদায় করতে হয়, প্রতিষ্ঠা করতে হয় সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। প্রবীণদের তৎপরতার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হবে আমরা ফুরিয়ে যাইনি। তলানির শক্তিও অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে স্বতঃস্ফূর্ত ব্যক্তিত্ব ও সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টায়। প্রবীণ সাংবাদিকদের বহুমাত্রিক সমস্যা সমাধানের জন্য সকল সাংবাদিককে একযোগে কাজ করতে হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ-ঃ ৩৭ ও ৩৮ অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিকের সভা সমাবেশে যোগদানের ও সমিতি-সংগঠন করার অধিকার আছে। সে অধিকার বলে আজ আমরা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছি এবং ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের প্রয়োজনে সংগঠন করার অধিকার আছে।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি উপদেষ্টা কমিটি ও একটি আহ্বায়ক কমিটি করে ‘সিনিয়রস জার্নালিস্ট ফোরাম, চট্টগ্রাম’ গঠন করা হয়। কমিটির উপদেষ্টারা হলেন, ইসকান্দর আলী চৌধুরী, স্বপন দত্ত, মাখন লাল সরকার, পংকজ কুমার দস্তিদার।

আহ্বায়ক কমিটির কর্মকর্তারা হলেন আহ্বায়ক- মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, যুগ্ম- আহ্বায়ক ফারুক ইকবাল, সদস্য সচিব- সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, যুগ্ম সদস্য সচিব-নির্মল চন্দ্র দাশ, অর্থ সচিব- তাপস বড়ুয়া (রুমু) । এ ছাড়াও আরো ১০জন সদস্য রয়েছেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply