১৭ মে ২০২৪ / ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:১৩/ শুক্রবার
মে ১৭, ২০২৪ ৩:১৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে ছয় মাসে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত

     

চট্টগ্রাম জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিন বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৫৫ জন আক্রান্ত হন। সংক্রমণের হার ৩৪ দশমিক ১১ শতাংশ। এ সময়ে শহর ও গ্রামে একজন করে রোগির মৃত্যু হয়। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।

রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, শাহ আমানত বিমানবন্দর ও নগরীর ১১ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল চট্টগ্রামের ৪ হাজার ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ১ হাজার ৪৫৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ১ হাজার ৬০ জন ও ১৫ উপজেলার ৩৯৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ৮৮, রাউজানে ৬৪, আনোয়ারায় ৫৮, রাঙ্গুনিয়ায় ৩৫, বাঁশখালীতে ২৯, বোয়ালখালীতে ২৫, সাতকানিয়ায় ২৩, মিরসরাই ও ফটিকছড়িতে ১৭ জন করে, লোহাগাড়ায় ১৪, পটিয়ায় ১৩, সীতাকুণ্ডে ৫, সন্দ্বীপ ও চন্দনাইশে ৩ জন এবং কর্ণফুলীতে একজন করে রয়েছেন।

জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯১৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৮৪০ জন শহরের ও ৩১ হাজার ৭৫ জন গ্রামের। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে একজন করে রোগির মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৪৮ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭২৯ ও গ্রামের ৬১৯ জন।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, নতুন বছরের প্রথম দিনে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয় চট্টগ্রামে। আর সর্বশেষ গতকাল ২৫ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪৫৫ জনের। হিসেবে ২৫ দিনের ব্যবধানে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬২ গুণ বেশি। চট্টগ্রামে সর্বশেষ এর চেয়ে বেশি ১ হাজার ৪৬৬ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ঠিক ছয় মাস আগে। ওইদিন ৩ হাজার ৯২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। সংক্রমণ হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত ৯ রোগিও মারা যান।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৭০৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৯১ ও গ্রামের ১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৩৪ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৭০ ও গ্রামের ১৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪৩ ও গ্রামের ৪১ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২১৩টি নমুনার মধ্যে শহরের ৭৯ ও গ্রামের ৩৪টিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩৮ নমুনায় শহরের ১৯ ও গ্রামের ২টিতে সংক্রমণের প্রমাণ মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৪৪২ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ১৫৫ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়। সবটুকু জানতে ক্লিক করুন

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply