৬ মে ২০২৪ / ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:২৯/ সোমবার
মে ৬, ২০২৪ ১:২৯ অপরাহ্ণ

টিকা নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

     

করোনা ভাইরাসের টিকা নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণহারে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করার পর তিনি টিকা গ্রহণ করেন।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে একটি মহৎ কাজ করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ দেখা দেয় ৮ মার্চ। তখন আমরা রোগী শনাক্ত করতে সক্ষম হই এবং ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃত্যু হয়। তখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করি। সব কিছু মিলিয়ে আমরা সুফল পায়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা এগোতে থাকি। অনেক সমালোচনা হয়েছে, সমস্ত সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে আমরা কাজ করতে থাকি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান অন্যন্য দেশের থেকে তুলণামূলক অনেক ভালো। আমরা জুন মাস থেকে ভ্যাকসিন আনার কাজ শুরু করি। আজকে আমরা সারাদেশব্যাপী ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্ধোধন করতে যাচ্ছি। দেশের সকল জেলার সাথে আমরা যুক্ত হয়েছি।’

মন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা দেশের সকল সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে একসাথে ভ্যাকসিন গ্রহণ করব। এই ভ্যকসিন নিয়ে যাতে কোন ভুয়া তথ্য না ছড়ায় এই আশা করছি। এই ভ্যাকসিন সব চেয়ে বেশি নিরাপদ। যতগুলো ভ্যাকসিন আছে তারমধ্যে অ্যাষ্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন বেশি নিরাপদ। এর পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। যতগুলো মানুষকে আমরা ভ্যাকসিন দিয়ে তারা সবাই ভালো আছে সুস্থ আছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ভ্যাকসিন অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধিত হচ্ছে। যদি অ্যাপসের মাধ্যমে কেউ নিবন্ধন না করতে পারেন তাহলে আমাদের আরো নির্দেশনা আছে তারা ইউনিয়ন বা উপজেলায় গিয়ে তথ্য সেন্টারের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন এবং ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এটাও যদি না পারে তাহলে তারা আসলেই ভ্যাকসিন নিতে পারবে। ফর্ম ফিলাপ করলেই তারা ভ্যাকসিন পাবে। ভ্যাকসিন না নিয়ে কেউই যাবে না। আমাদেরই এটিই লক্ষ্য। আমাদের কাছে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আছে। যেটা ৩৫ লাখ লোককে আমরা দুই ডোজ করে দিতে পারব।

তিনি আরো বলেন, সারা বছরব্যাপী আমাদের এই করোনা ভাইরাসের টিকা কর্মসূচী চলবে। এটা একদিনের বিষয় নয়, এক মাসের বিষয় নয়। সারা বছর ধরে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমাদের ভ্যাকসিন আসতে ছয় মাস লাগবে। তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন আসবে। তারপর থেকে থেকে আমরা সেই ভ্যাকসিন দিতে থাকব।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, টিকা নিতে ইতোমধ্যে তিন লাখ ২৮ হাজার জন নিবন্ধন করেছেন। টিকার কর্মসূচী সফল করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেই এই কর্মসূচী শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব টিকা নেবেন।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনা টিকার প্রথম পরীক্ষামূলক কর্মসূচি শুরু হয়। এদিন প্রথম টিকা নেন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। প্রথম দফায় কয়েকজন ফ্রন্টলাইনারকে পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বমোট এক হাজার ১৫টি হাসপাতালে টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ২ হাজার ৪০২টি দল টিকাদানে নিয়োজিত থাকবে। ঢাকায় ৬৫টি স্থানে টিকাদান হবে। সেখানে কাজ করবে স্বাস্থ্যকর্মীদের ২০৬টি দল।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply