৩০ এপ্রিল ২০২৪ / ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:১৭/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

ছাত্রদের মা-বাবা, শিক্ষক ও বড়দের সম্মান করতে হবে এবং আদেশ মেনে চলতে হবে -তারেক নিজাম

     

আজ সাপ্তাহিক পূর্ব বাংলার “সাক্ষাতকার” পর্বে আমরা কথা বলবো।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত মেধাবী শিক্ষার্থী তারেক নিজামের সাথে।আনোয়ারা থানার ৬নং বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ ৯নং ওয়ার্ডে গ্রামে উনার জন্ম ও বেড়েউঠা। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয় নিয়ে আজকের সাক্ষাৎকারটি।
রবিন- আসসালামু আলাইকুম
তারেক নিজাম- ওয়ালাইকুম সালাম
রবিন- কেমন আছেন আপনি?
তারেক নিজাম- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি
রবিন- শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট?
তারেক নিজাম- ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে আগের সেই সম্পর্ক বর্তমানে নাই। স্টুডেন্টরা শিক্ষকদের সম্মান করা কমিয়ে পেলেছে হয়তো শিক্ষকদের সামনা-সামনি সম্মান করে। বরং শিক্ষকরা স্টুডেন্টদের মানিয়ে নিয়ে সম্মান বাঁচাতে চেষ্টা করে। তবে এখনো অনেক স্টুডেন্ট শিক্ষকদের খুবই সম্মান করে এবং যথাযথ অনুসরণ করে।
 আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক ছাত্র/ ছাত্রীদের মেধা সমান। প্রত্যেকেই যোগ্যতা রাখে ভালো ভালো ছাত্র হওয়ার। অনেক সময় দেখি তার বিপরীত! এর সমাধান কি? সমাধানের আগে এর পিছনের কারণগুলো দেখতে হবে আমাদের। কয়েকটি কারন হলঃ- ১) যথাযথ পরিচর্যার অভাব। ২) সময়মত নিজের জীবনকে গুছিয়ে তুলতে না পারা। ৩) অর্থনীতিক সমস্যা। এগুলো ছাড়াও অনেক কারন থাকতে পারে।
এর সমাধান হচ্ছেঃ ১) নিয়মিত ক্লাসে উপস্হিত ও পড়াশোনা করতে হবে। ২) সুস্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে নিজের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ৩) সরকারকে শিক্ষার উপকরণগুলো সহজলভ্য ও সাশ্রয়ীমূল্যে সরবরাহ করার ব্যবস্হা করতে হবে।
রবিন- অমনোযোগিতা ব্যাপারটা এখন এতটাই গুরুতর যে, কোচিং সেন্টার ও বাসায় শিক্ষক থাকার ফলে বাচ্চারা এখন আর শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাই মনে করে না। এতে যে বাচ্চাদেরই শুধু ক্ষতি হচ্ছে তাই নয়, অপমানবোধে ভোগেন অনেক শিক্ষকও। অথচ শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ দিলে সময় ও অর্থ নষ্টকারী দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিদ্যালয়গুলোর দ্বারস্থ হতে হয় না আমাদের । এটি কি সঠিক মনে করেন আপনি?
তারেক নিজাম- পত্রিকায় অনেক রিপোর্টে দেখা যায় যে শিক্ষকরা ক্লাসে যথাযথ পড়াতে পারেনা অথবা সিলেবাস শেষ করার সময় পাইনা অথবা স্টুডেন্টরা স্যার দের ব্যাচে বা কোচিং-এ পড়ার জন্য শিক্ষকরা ইচ্ছে করে ক্লাসে সিলেবাস শেষ করে না। যার ফলে স্টুডেন্টরা হোম-টিউটর বা কোচিংমুখী হয়ে থাকে। আমার মনে হয় সামনের দিনে ক্লাসে যথাযথ সিলেবাস শেষ করা হবে এবং বর্তমান অবস্হার পরিবর্তন হবে। বর্তমান সরকারও এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
রবিন- আপনি কোন ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন? তারেক নিজাম- না। রবিন- ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী? তারেক নিজাম- ছাত্র রাজনীতিকে দু’ভাবে মূল্যায়ন করা যায়। ১) স্টুডেন্টরা নিজেদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায় করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-সংসদ থাকে। ২) পরোক্ষভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করা।
নেতৃত্ব গুনাবলী বিকেশিত করার জন্য ছাত্র রাজনৈতিক ভাল কাজ করে তবুও ছাত্র রাজনীতি স্টুডেন্টদের পড়ালেখায় অনেক বেশি ক্ষতি করে।
রবিন- শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন? তারেক নিজাম- মানব কল্যান
রবিন – আপনার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য কী? তারেক নিজাম- প্রত্যেকের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য থাকা উচিৎ। লক্ষ্যবিহীন জীবন হচ্ছে সাগরে নাবিকবিহীন জাহাজের ন্যায়।
রবিন- বারখাইন ইউনিয়নে ছাত্রদের শিক্ষা ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা রয়েছে? এই সব সমস্যা সমাধানের উপায় কি?? তারেক নিজাম- বারখাইন ইউনিয়নের ছাত্রদের শিক্ষা ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো হচ্ছেঃ- ১) প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২) দক্ষ শিক্ষকের সংকট ৩) উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাব সমাধানের উপায়ঃ- ১) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ২) দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। ৩) যে সকল শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্জিনিয়ারিং, মিডিকেল কলেজে পড়ে তাদের নিয়ে সেমিনার আয়োজন করতে হবে। উক্ত সেমিনারের মাধ্যমে বর্তমান স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে ও উৎসাহ সৃষ্টি করতে হবে। রবিন- ছাত্রদের উদ্দেশ্য আপনার কিছু বলার আছে? তারেক নিজাম- বর্তমান ছাত্রদের বলতে চাইঃ- ১) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কম ব্যবহার করতে হবে। ২) নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে এবং প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করতে হবে। ৩) নিয়মিত খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর চর্চা করতে হবে। ৪) প্রত্যেকটি পড়ার গভীরে গিয়ে বুঝে পড়তে হবে। ৫) মা-বাবা, শিক্ষক ও বড়দের সম্মান করতে হবে এবং আদেশ মেনে চলতে হবে। ৬) মাদক থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে হবে।
রবিন- বারখাইন ইউনিয়ন নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? তারেক নিজাম- আনোয়ারার মধ্যে অন্যতম সুন্দর-সমৃদ্ধশালী-আদর্শ ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলা।
রবিন – আপনার জীবন বৃত্তান্ত। তারেক নিজাম- তৈলারদ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী এবং তৈলারদ্বীপ বারখাইন এর্শাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জে.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছি। কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এস.এস.সি এবং সরকারি সিটি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি কমপ্লিট করি। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত আছি। এর সাথে বিশ্ব মানবাধিকার ফোরামের বাংলাদেশের জেনেরাল সদস্য হিসাবে যুক্ত আছি।
রবিন-আপনাকে ধন্যবাদ তারেক নিজাম- আপনাকেও ধন্যবাদ

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply