২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:০৫/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ৬:০৫ অপরাহ্ণ

গ্ৰামবাসির নিজ অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে শার্শার উলাশী জিয়া খালের উপর স্বপ্নের সেতু

     

এম ওসমান, বেনাপোল 
যশোরের শার্শা উপজেলার  উলাশী জিয়ার খালের উপর নির্মিত হচ্ছে স্বপ্নের সেতু । গ্ৰামবাসির উদ্দোগে ও নিজেদের অর্থায়নে চলছে ব্রিজের  নির্মাণ কাজ ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জিয়ার খালের উপর দিয়ে উলাশী বাজারে যাওয়া আসার এক মাত্র সহজ পথ এই সেতু। দীর্ঘদিন যাবত খালের উপর বাঁশের খুঁটি পুঁতে ঝাড়োন তৈরি করে গ্ৰামবাসি এমনি যাওয়া-আসা করতো । তবে স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের ও অসুস্থ রোগীদের অনেক ভুগান্তিতে পড়তে হয় । অনেক সময় স্কুল- কলেজ থেকে যাওয়া আসার পথে বই খাতা নিয়ে পানিতে ও পড়তে হয় ।
তবে যাতাতের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হওয়ায় সবাই এই খালের উপর দিয়ে যাতায়াতের পথ বেছে নিয়েছে । এই খালের উপর বাঁশের শাকো দিয়ে অন্তত সাতটি গ্ৰামের মানুষ চলাচল করেন । রঘুনাথপুর বাগ, ডাঙ্গী, করিময়ালী, মির্জাপুর, উলাশী, বেড়ারুপানি ও পাঁচপোতা গ্ৰামের হাজার হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন ।
প্রতি বছর বাঁশ দিয়ে শাকো তৈরি করে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করতে হয় । তাই গ্ৰামবাসির নিজ  উদ্দোগে গ্ৰামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ চাঁদা দিয়ে নির্মাণ করছেন স্বপ্নের সেতুটি । এতে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা খরচ করে পিলার গুলি স্থাপন করা হয়েছে ।
এখনো ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা লাগতে পারে বলে জানান এলাকাবাসী । তবে এই মহান কাজে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিরা যদি এগিয়ে আসতো তাহলে হয়তো তাদের যাতায়াতের স্বপ্নের সেতুটি নির্মাণ কাজ সহজ হতো ।
এই সেতু নির্মাণের জন্য উদ্দোগ নিয়েছেন যারা তারা হলেন লোকমান হোসেন, মুজিবুর রহমান, মোয়াজ্জেম, আলিনুর, খাইরুল, মোহাম্মদ, খালেক, উলাশী ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম মিলনসহ আরো অনেকে ।
জাহিদ হাসান ও খাইরুল ইসলাম বলেন, দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে তাদের উলাশী বাজারে যাওয়া লাগে । আগে শাকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে হতো । তবে সব কথা চিন্তা করে এমন মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে গ্ৰামবাসি । তারা জনপ্রতিনিধিদের সাহায‍্যো ছাড়াই কাজ শুরু করেছেন কিন্তু এমতাবস্থায় এখন কাজ শেষ করতে অনেক অর্থের দরকার তাই সকলকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গ্ৰামবাসি ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply