৪ মে ২০২৪ / ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:১০/ শনিবার
মে ৪, ২০২৪ ৩:১০ অপরাহ্ণ

হাইকমিশনারের সাথে মতবিনিময় ব্লু ইকোনমিতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাইলেন চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুুবুল আলম

     

 

নিজস্ব প্রতিনিধি

বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট (ঐ.ঊ. গং. ঔঁষরধ ঘরনষবঃঃ) ২৩ মে বিকেলে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স’র সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। মতবিনিময়কালে বাংলাদেশের অর্জিত জলসীমার সদ্ব্যবহারকল্পে ব্লু ইকোনমিতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতার আহবান জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ সময় নয়াদিল্লীস্থ হাইকমিশনের ট্রেড কমিশনার গ্রেগরি হার্ভেই (এৎবমড়ৎু ঐধৎাবু) ও অস্ট্রেলিয়ান ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের কান্ট্রি ম্যানেজার মিনহাজ চৌধুরী হাইকমিশনারের সাথে ছিলেন। চেম্বার পরিচালকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাহফুজুল হক শাহ, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ রকিবুর রহমান (টুটুল), মোঃ জাহেদুল হক এবং নবনির্বাচিত পরিচালক ওমর হাজ্জাজ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) ও সরওয়ার হাসান জামিল।

হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট শত শত বছরের ঐতিহ্যের উল্লেখ করে বলেন- ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের কেন্দ্রবিন্দু এবং উপমহাদেশীয় অঞ্চলে ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্লোবাল স্কলারশীপসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অস্ট্রেলিয়া সরকার এ পর্যন্ত ৫৬ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। হাইকমিশনার দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সম্ভাবনাময় খাতসমূহ চিহ্নিত করে কার্যকর বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও গণশিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনে অস্ট্রেলিয়া সরকারের আগ্রহের কথাও উল্লেখ করেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে বিশেষ করে নারী উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন-দু’দেশের মধ্যে প্রায় ২বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হলেও ঘাটতি রয়েছে প্রচুর। বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ এবং বাংলাদেশের রপ্তানি ঝুড়ি সম্প্রসারণসহ রপ্তানি বৃদ্ধিতে হাইকমিশনারের সহায়তা আশা করেন। মাহবুবুল আলম দু’দেশের মাঝে কাঙ্খিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে পিপল টু পিপল সম্পর্ক বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মিরসরাই ও আনোয়ারায় দু’টি অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বাংলাদেশে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে বিনিয়োগ আহবান করেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply