২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৩:১৫/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৩:১৫ পূর্বাহ্ণ

সীমান্তে দেড় কোটি টাকার মাদক জব্দ, গ্রেফতার ৩৯

     

সীমান্তে গত ছয় মাসে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৩ হাজার ১০৫ টাকা দামের মাদকদ্রব্যসহ চোরাচালানী মালামাল জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে ৩৯ জন।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ক্যাম্প ছয়টি, নাগেশ্বরী একটি ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় দুইটি বিজিবি ক্যাম্প অবস্থিত। ৭৮ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ১৫ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার-উল-আলমের দিক নির্দেশনায় বিজিবির সদস্যরা মাদক বিরোধী অভিযানে গত ছয় মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল জব্দ, গ্রেফতার জনকে ৩৯ করা হয়।

সীমান্তবাসী জানান, বর্তমানে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির সদস্যরা আসার পর থেকে রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টায় সীমান্তে সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত থাকায় মাদক চোরাকারবারীর সংখ্যা একেবারেই কমে এসেছে। বিজিবির কারণে সীমান্তে শান্তি বিরাজ করছে।

সীমান্তে দেড় কোটি টাকার মাদক জব্দ, গ্রেফতার ৩৯

ফেন্সিডিল জব্দ। ছবি: ইত্তেফাক

বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার-উল-আলম যোগদানের পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স দেওয়ার কারণে অতীতের তুলনায় এখন মাদকের ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীর সংখ্যা প্রায় শূন্যে কোঠায় এসেছে।

মাদকদ্রব্য পাচার হয়ে যাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে না পারে সে জন্যে সীমান্তে থাকা প্রতিটি বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করেন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার-উল-আলম। তার নির্দেশনায় সীমান্তে অবস্থানরত বিজিবির সদস্যরা কঠোরভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

১ জুলাই ২০১৮ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৩ হাজার ১০৫ টাকার বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদকদ্রব্য হলো গাঁজা-১৬৪ কেজি, ফেন্সিডিল ২ হাজার ৫৭৯ বোতল, মদ ৪৬৩ বোতল, ইয়াবা ৩৯৯ পিস, স্কাপ সিরাপ ৭৪৫ বোতল। মামলা দায়ের হয়েছে ৩০টি।

এ প্রসঙ্গে লালমনিহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আনোয়ার-উল-আলম জানান, মাদক দেশ ও জাতির শত্রু। তাই মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তে বিজিবির টহল অব্যাহত থাকবে। সীমান্তে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যাপক গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনাও অব্যাহত আছে। সীমান্তবাসীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে মাদক নির্মূল করতে সক্রিয় ভূমিকায় সীমান্তকে আরো নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখবে। তাই সীমান্তবাসী এখন শান্তিইে বসবাস করবে। এটি আমাদের বড় প্রত্যাশা।সৌজন্য ইত্তেফাক

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply