২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১১:২৭/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১১:২৭ অপরাহ্ণ

শেষ দিনে বিএনপির আসলাম চৌধুরী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন!

     

অবশেষে চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীই ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ। শেষ দিনে দিনেই প্রার্থিতা ফিরে পেলেন বিএনপির এই প্রাথী। বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় তিনি কারাবন্দী আছেন।

এতদিন এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালিয়েছিলেন তার বড় ভাই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইসহাক চৌধুরী।

আজ ইসির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ইসহাক চৌধুরীকে বাতিল প্রার্থীদের তালিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৈধ প্রার্থীর তালিকায় ধানের শীষ প্রতীকের পাশে আসলাম চৌধুরীর নাম, ছবি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল, বিএনপির বর্তমান প্রার্থী ইসহাক চৌধুরীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে এবং আসলাম চৌধুরীর ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে দলের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উচ্চ আদালতের আদেশে আসলাম চৌধুরী হচ্ছে বৈধ প্রার্থী।নির্বাচন কমিশন আসলাম চৌধুরীকে বৈধতা দিলে ইসহাক চৌধুরী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে।

চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, তারা উচ্চ আদালতের আদেশের বাইরে যেতে পারবেন না। উচ্চ আদালত তার আদেশে বলেছেন, বিএনপির বর্তমান প্রার্থী মো. ইসহাক চৌধুরী যদি তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে সম্মত হন এবং দলের পক্ষ থেকে আসলাম চৌধুরীকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার প্রত্যয়নপত্র দেন, তবেই রিটার্নিং কর্মকর্তা আসলাম চৌধুরীকে ধানের শীষ প্রতীক দিতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে ইসহাক চৌধুরী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চিঠি দেন। এতে আদালতের নির্দেশ অনুসারে আসলাম চৌধুরীকে প্রার্থিতা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তফাজ্জল হোসেন বলেন, প্রচারণার শেষ দিনে আসলাম চৌধুরীর প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।আজকের মধ্যেই তারা আসলাম চৌধুরীর ব্যানার পোস্টার লাগানোসহ যা যা করণীয়, তা করবেন। একই সঙ্গে ইসহাক চৌধুরীর পোস্টার, ব্যানার তুলে নেবেন।

বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, ঋণ খেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন যাচায়ের দিনে আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।এর পর তারা আপিল করেন নির্বাচন কমিশনে। সেখানে ব্যর্থ হয়ে উচ্চ আদালতে যান।

গত ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ আসলাম চৌধুরীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে। পরে সেটিও স্থগিত হয়। আপিল বিভাগ উচ্চ আদালতের আদেশ বহাল রাখে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply