কলেজ ছাত্রীকে হত্যা করল মা!
আজ শনিবার জেলার পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াছ শরীফ বিপিএম-পিপিএম জানান, গত ১২ নভেন্বর জেলা শহর মাইদীর পৌর বাজার মসজিদ সংলগ্ন পূর্ব জয় কৃষ্ণরামপুরের এনামুল হক হিমেলের স্ত্রী সাজেদা আক্তার তার মেয়ে চমককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ১৫ নভেম্বর বিকালে তাদের বাসার পাশের একটি ডোবা থেকে পুলিশ চমকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে এ ঘটনার তদন্তভার জেলা ডিবি পুশিকে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার চমকের ছোট বোন চাঁদনীকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসবাদের পর সে জানায়, ঘটনার রাতে তার মা ঢাকা থেকে এসে তার বড় বোন চমককে ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশা ও কথা বলার জন্য মারধর করে। এক পর্যায়ে মা আমার ওড়না নিয়ে বোনের গলায় পেঁচিয়ে ধরলে সে মারা যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে আমার মামাও উপস্থিত ছিলেন। পরে তার লাশ বাসার পাশে ডোবায় ময়লার স্তুপের নিচে ফেলে রাখে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, থানায় চাঁদনীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর পর শুক্রবার তাকে সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শহেব উদ্দিন খানের আদালতে হাজির করা হয়। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় একই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করার পর আদালত চাঁদনীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। পরে বিকালে জেলা ডিবি চমকের মা ও মামাকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাপস নামে চমকের এক সহপাঠীকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে সুধারাম মডেল থানার ওসি জানান।