২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:১০/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ৪:১০ পূর্বাহ্ণ

মধ্য পীরেরবাগে পানির জন্য হাহাকার

     

গত ১৫ দিন ধরে পানির সংকট চলছে রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ মধ্য পীরেরবাগ এলাকায়। শুক্রবার থেকে ওই এলাকার সকল বাসা-বাড়িতে পানি সাপ্লাই পুরোপুরি বন্ধ। এরপর গত ৫ দিন পানির অভাবে সেখানে রীতিমত ঘরে ঘরে হাহাকার অবস্থা। জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
খাবার পানি তো দূরের কথা গোসল, রান্না-বান্না ও বাথরুমে ব্যবহারের জন্যও এক ফোঁটা পানি পর্যন্ত নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তাগাদা দিলেও তারা ভ্রুক্ষেপ করছে না।
বাসিন্দারা জানান, তারা গত ৫ দিন ধরে গোসল করতে পারেননি। অন্য এলাকার আশেপাশে যাদের আত্মীয় স্বজন আছে তাদের বাড়িতে গিয়ে গোসল-বাথরুম সেরে আসছেন। কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। এলাকার দোকানগুলোতেও খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কোম্পানীগুলো পানি দিয়ে যাওয়ার পরপরই তা লাইন ধরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা।
ওয়াসার গাড়ি এলাকার প্রভাবশালীদের বাসা-বাড়িতে পানি সরবরাহে ব্যস্ত। সাধারণ মানুষ টাকা দিয়েও ওয়াসার কাছ থেকে পানি পাচ্ছে না। পানি নিয়ে চলছে দুর্নীতি ও দূর্বৃত্তায়ন। ধুম পড়েছে পানি বেচা-কেনার। রীতিমত ব্যবসা ফেদে বসেছে এলাকার একটি রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা। তারা ওয়াসার সঙ্গে যোগসাজশ করে ওয়াসার বিনামূল্যের গাড়ির পানি বিক্রি করছে চড়া দামে। এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক নুহু আব্দুল্লাহ জানান, এই গরমের মধ্যে পানির অভাবে নাভীশ্বাস দশা। ছোট বাচ্চাদের অবস্থা আরো করুন। ভয়াবহ কষ্টে আছে মানুষ।
মধ্য পীরেরবাগ বাড়ির মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রব জানান, তারা ঢাকা ওয়াসা মডস জোন-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদের কাছে গিয়েছিলেন। তারা নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানান, গত ১৫ দিন যাবৎ পানি ঠিকমতো পাচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা নির্বাহী প্রকৌশলীকে পাম্প রি-বোরিং করতে অনুরোধ করলেও তিনি তা আমলে নেননি।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ ইত্তেফাককে বলেন, মধ্য পীরেরবাগে পানি সাপ্লাই দেওয়া যাচ্ছে না কারণ পানির স্তর অনেক নিচে চলে গেছে। যে কারণে পানি কম উঠছে। আমরা আনন্দবাজার ও শেওড়াপাড়া পাম্প থেকে বিকল্প পন্থায় পানির ব্যাবস্থা করবো। আশা করছি আগামীকাল থেকে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ওয়াসার যে পাম্প রয়েছে সে পাম্পেও পানি আগের চেয়ে কম উঠছে। বিকল্প পন্থায় মধ্য পীরেরবাগ এলাকায় পানি আনা হলে শেওড়াপাড়ার বাসিন্দারা পর্যাপ্ত পানি পাবেন না। তারপরও সেটাই করা হবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply