খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে খেসারত দিতে হবে – এরশাদ উল্লাহ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক যুগ্মআহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেন ঈদের আগে বেগম খালেদা দিয়াকে মুক্তি দিন, না দিলে সরকারকে জনতার আদালতে চরম খেসারত দিতে হবে। তিনি আজ বিকেল ৩ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ৬নং পূর্বষোলশহর ওয়ার্ড শাখার উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মজিদিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এস.এম. শফিউল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ফজল কবিরের পরিচালনায় আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন দেশ আজ রাজনৈতিক অর্থনৈতিকভাবে গভীর সংকটে নিমজ্জিত। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণ করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঈদের আগে মুক্তি দিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুষ্টু পরিবেশ তৈরী করুন। সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও তাদের আত্মীয়স্বজনেরা দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশের মাটিতে পাচার করেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাংক খালি করে দিয়েছে, তাদের ব্যাপারে সরকারের কোন মাথাব্যাথা নাই। যুব সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি, শহীদ জিয়া শিশু-কিশোর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম.এ.হাশেম রাজু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চান্দগাঁও থানা বিএনপি’র কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ আজম, বিএনপি ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি কাউন্সিলর দোস্ত মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম নগর বিএনপি’র সদস্য শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ ইদ্রিস, সদস্য এস.এম. নুরুল আলম, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এম.ফিরোজ খান, চান্দগাঁও থানা বিএনপি’র সহসভাপতি আবদুল খালেক মেম্বার। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহবায়ক জাফর আহমদ, চান্দগাঁও থানা বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, জানে আলম, ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী আবুল বশর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুন্নবী, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ফরিদ, চান্দগাঁও থানা যুবদল নেতা মোহাম্মদ ওমর ফারুখ, শাহেদুল আলম, মোহাম্মদ ইব্রাহীম বাবুল, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ বেলাল, মোহাম্মদ ইলিয়াছ বাবুল, জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ আজিম, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদ, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ জসিম, মোহাম্মদ হেলাল, মোহাম্মদ রহিম, মোহাম্মদ সাইফু, মোহাম্মদ নুরুদ্দিন, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, মোহাম্মদ আজাদ, রুবেল, মিজান, আমজাদ, খোরশেদ আলম রুবেল, মোজাম্মেল হক রুবেল, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ ইউসুফ, নগর ছাত্রদল নেতা আবু সৈয়দ রাসেল, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমূখ। প্রধান বক্তা এম.এ হাশেম রাজু বলেন মাদক অভিযানের নাম দিয়ে শহীদ জিয়ার আদর্শের নেতা কর্মীদেরকে বেছে বেছে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করার অধিকার সরকারকে কে দিয়েছে? মাদক আমদানীর সম্রাট এমপি বদিকে জামাই আদরে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে মাদক অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেছে। বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড বন্ধ করুন। বিশেষ অতিথি কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম বলেন দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবেন না। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশের মানচিত্র পেয়েছি আজ সেদেশের মাটি ও মানুষ একটি দেশের কাছে বন্দি হয়ে আছে। বিশেষ বক্তা কাউন্সিলর দোস্ত মোহাম্মদ বলেন শেখ হাসিনা সরকার ৫ই জানুয়ারি মার্কা আর একটি নির্বাচন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তবে কোন লাভ হবে না। এবার শহীদ জিয়ার আদর্শের নেতাকর্মীরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে অর্জিত গণতন্ত্র পুর্ণরুদ্ধার করবে।