গুয়েতেমালায় অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ২৫
গুয়েতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ শতাধিক। দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার রাজধানী গুয়েতেমালা সিটি থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আগ্নেয়গিরিটি থেকে কালো ধোঁয়া ও ছাই উড়তে দেখা যায়।
গুয়েতেমালার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (কনরেড) জানিয়েছে, লাভার একটি স্রোত এল রোদেও গ্রামের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে ভেতরে থাকা লোকজনকে দগ্ধ করেছে। আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে গুয়েতেমালা সিটির লা অরোরা বিমানবন্দর বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘জাতীয় জরুরি প্রতিক্রিয়া’ শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, ১৯৭৪ সালের পর এ প্রথম বড় কোনো লাভা উদগীরণের ঘটনা ঘটল।
কনরেডের প্রধান সের্জিও চাবানাস বলেন, লাভার নদী গতিপথ পরিবর্তন করে এল রোডেও গ্রামে দিকে গেছে। তিনি বলেন, ‘এ লাভার নদীটি উপকূল ভাসিয়ে দেয় এবং এল রোডেও গ্রাম আক্রান্ত হয়। এতে আহত, দগ্ধ ও নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।’
সের্জিও চাবানাস বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এল রোডেও ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লাভার কারণে আমরা লা লিবার্তাদ গ্রামে পৌঁছাতে পারিনি। সম্ভবত সেখানেও মানুষ মারা গেছে।’
পুরো শরীর ছাইয়ে ঢাকা স্থানীয় নারী কনসুয়েলো হার্নান্দেজ বলেন, লাভায় শস্যক্ষেত ভরে গেছে। সবাই নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারেনি। আমার মনে হয়, বাকিরা সমাহিত হয়ে গেছে।
গুয়েতেমালার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা সহায়তা করছে। লা অরোরা বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছাই সরিয়ে দিতে কাজ করছে।