২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:২৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৯:২৯ অপরাহ্ণ

‘আমি কথা দিয়ে রাখতে পারিনি বলে লজ্জিত -রাশেদ খান মেনন

     

 

হিমেল তালুকদার, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বিমানবন্দর চালু হবে। চালু হলে দেশ বিদেশের অনেক উদ্যোক্তা এ অঞ্চলে ভারি শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।

সেই সঙ্গে যোগাযোগের উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বিমানবন্দরটি। গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরটি পরিদর্শনে এসে চালুর উপযোগী বলে বিমান চালুর ঘোষণা দেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

সেই আশায় বুক বেঁধে ছিল ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়ের মানুষ। সবাই মনে করেছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও আগমন উপলক্ষে বিমান বন্দরটি চালু ঘোষণা দেবেন এই মাসেই।

কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে (১১ এপ্রিল) বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ঠাকুরগাঁওয়ে বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভায় জানিয়েছেন, সরকারের এককভাবে বিশাল অর্থের বিনিময়ে বিমান বন্দরটি পুনরায় চালু করা সম্ভব না।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কথা দিয়ে রাখতে পারিনি বলে লজ্জিত। তবুও এটি চালুর লক্ষে একনেকের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসে আবারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।’

তার বক্তব্যে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের আশায় যেন মরীচিকায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি হতাশ হয়েছেন জেলার সব মানুষ। সেই সঙ্গে আবারও চালুর উদ্যাগ গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন জেলার মানুষ।

জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইাসলাম এমপি, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি ইয়াসিন আলী এমপি, পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম প্রমুখ। ।

পরে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন পীরগঞ্জ উপজেলার ওয়ার্কাস পার্টির এক সভায় যোগ দেন।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এর যোগাযোগ ছিল। সে সময় ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে নিয়মিত বিমান সার্ভিস চালু ছিল।

তখন থেকেই ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি উত্তরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপদ সমূহের সাথে ঢাকার বিমান যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন হয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন, ১৯৮০ সালে লোকসানের অজুহাতে এই বিমান বন্দরটিকে বন্ধ করে দেয়া হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply