রাজারহাটে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম
উচ্চ শিক্ষিত বেকারদের সুযোগ না দিয়ে নিজেদের মনোনীতদের অর্থের বিনিময়ে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার পদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। রাজারহাট উপজেলার পরিসংখ্যান অফিসের অধীনে খানা শুমারীর চলমান প্রকল্পে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন সুযোগ বঞ্চিতরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,রাজারহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ১৮০টি মৌজায় ২শ পরিবারের জন্য একজন করে তথ্য সংগ্রহকারী এবং ৫/৬জন তথ্য সংগ্রহকারীর কাজ দেখার জন্য একজন করে সুপারভাইজার নিয়োগের নির্দেশ আসে। এরপ্রেক্ষিতে উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস ২শ ৬৭জন তথ্য সংগ্রহকারী এবং ৫০জন সুপারভাইজার নিয়োগ করেন।
অভিয়োগ রয়েছে , অজ্ঞাত কারনে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগের বিষয়টি গোপন রেখে কোন প্রকার প্রচার প্রচারনা ছাড়াই অর্থের বিনিময়ে পূর্বে মনোনীতদের নিয়োগ প্রদান করেছেন। ফলে এতে উচ্চ শিক্ষিত বেকাররা অংশ গ্রহন করতে পারেননি। তুলনা মূলক ভাবে কম শিক্ষিতদের নিয়োগ দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে আকস্মিক নিয়োগকৃতদের প্রশিক্ষন শুরু হলে এই অনিয়মের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
এবিষয়ে উপজেলা জুনিয়র পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহসীন আলী জানান, তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগে কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। জানুয়ারী মাসে জোনাল অপারেশনের সময় বিভিন্ন স্থানে আমরা আগ্রহীদের মনোনীত করে রেখেছিলাম। অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের বিষয় তিনি অস্বীকার করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিসংখ্যানের উপ-পরিচালক ও রাজারহাট উপজেলা পরিসংখ্যানের অতিরিক্ত দায়িতপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক জানান,নিয়োগের বিষয়ে প্রচার,প্রসারের আলাদা কোন বরাদ্দ নেই,ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সহায়তায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং উপজেলা পর্যায়ে এ সংক্রান্ত ১১ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। নিয়োগে টাকা লেনদেনের বিষয়ে তার জানা নেই বলেন।