২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:১৩/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৫:১৩ অপরাহ্ণ

সীতাকুন্ডে ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন

     

সীতাকুন্ডে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করছে সীতাকুণ্ডবাসী। শনিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে নগরীর সিটি গেট থেকে সীতাকুণ্ডের বড় দারোগাহাট পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে তারা এ মানববন্ধন করছেন।

আশঙ্কাজনকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এ প্রতিবাদী মানববন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে সীতাকুণ্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনতা।মানববন্ধনে সীতাকুণ্ডের প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, স্থানীয় দুই শতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, সেবামূলক সংগঠন, ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১টি পৌরসভার প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণিপেশার হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছে।সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যাওয়ায় সীতাকুণ্ডের সর্বস্তরের জনতা এ প্রতিবাদী মানববন্ধন করছে। অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকেরা বেপরোয়াভাবে বাস চলাচলের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। যা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কে উল্টোপথে বাস চলাচল ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

এর আগে শুক্রবার মানববন্ধন বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এলাকায় জুড়ে ‘সেইফ লাইন’ পরিবহনের গাড়িগুলো এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। গত তিন মাসে এখানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৩ জন, আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এক বছরে নিহত হয়েছেন ১৪২ জন। যানবাহনগুলোর মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়া, রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে পথচারীদের হতাহতের ঘটনা এখানকার নিত্যদিনের। পঙ্গুত্ববরণ করে অনেকের জীবনে নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে দুর্ঘটনার জের সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অকালে কোনো মা সন্তানহারা, স্ত্রী স্বামীহারা কিংবা সন্তান পিতৃহারা হয়েছেন। নিরাপদ সড়ক এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহনগুলোকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে সরকারি উদ্যাগের দাবি জানায়েছেন মানব বন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা ।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply