২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৯:৪৯/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জে ১৬মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করেছে বিজিবি

     

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চাঁরাগাঁও সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত ১৬মে.টন চোরাই কয়লা ৩জন চোরাকারবারীর বাড়ি থেকে জব্দ করলেও চোরাকারবারীদের আটক করেনি বিজিবি। জব্দকৃত চোরাই কয়লার মূল্য ১লক্ষ ৬০হাজার টাকা। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ১১.০৩.১৮ইং রবিবার রাত ১২টায়। এব্যাপারে বিজিবি ও চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশনের ব্যবসায়ীরা জানায়,প্রতিদিনের মতো গত রবিবার রাত ৯টায় চাঁরাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব ১মে.টন চোরাই কয়লা থেকে চাঁরাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডারের নামে ও ম্যাচ খরছ বাবদ ২০০টাকা,হাসান আলী মেম্বার ২০০টাকা,সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ১০০টাকা চাঁদা নেওয়াসহ থানা ও ডিবি পুলিশের নামে ২৫০টাকা,বীরেন্দ্রনগর কোম্পানীর কমান্ডারের নাম ভাংগিয়ে ১০০টাকা,সুনামগঞ্জ বিজিবি অধিনায়কের নামে ভাংগিয়ে ২০০টাকাসহ মোট ১৫০০টাকা করে সর্বমোট ৭৫হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে ৫০মে.টন কয়লা পাঁচার করে। এবং সোর্স শফিকুল তার মামা রাজ্জাক মিয়ার বাড়ির উঠানে ১৮মে.টন,তার সহযোগী নজরুল মিয়া ও শহিদ মিয়ার বাড়িতে ১২মে.টন ও হাসান আলী মেম্মারের বোন জামাইয়ের পার্টনার ডালিম মিয়ার বাড়িতে ২০মে.টন কয়লা নিয়ে মজুত করে। এই খবর পেয়ে বীরেন্দ্রনগর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার হাবিবুর রহমান রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারি রাজ্জাকের বাড়ি থেকে ৬মে.টন,নজরুল ও শহিদের বাড়ি থেকে ৪মে.টন ও হাসান আলী মেম্বারের বোন জামাইয়ের পার্টনার ডালিম মিয়ার বাড়ি থেকে ৬মে.টন কয়লা জব্দ করেন। কিন্তু চোরাকারবারিদেরকে আটক করেনি। এর আগে গতকাল ০৮.০৩.১৮ইং বৃহস্পতিবার ৪ মে.টন চোরাই কয়লা বোঝাই ১ট্রলি ও ১টি ঠেলাগাড়িসহ চোরাকারবারি মরতুজ আলীকে হাতেনাতে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পর ২ঘন্টা পর অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলার জেলখাটা আসামী হাসান আলী মেম্বারের নির্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়। এব্যাপারে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার রফিক বলেন,এব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারবনা,দয়া করে সুনামগঞ্জ থেকে জেনে নিন। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,জব্দকৃত অবৈধ কয়লার ব্যাপারে ভালভাবে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য,ইতিমধ্যে চোরাচালানী শফিকুল ইসলাম ভৈরব তার সহযোগী মরতুজ আলী,ফালান মিয়া,বাবুল মিয়া,হাসিম মিয়া,মোবারক মিয়া ও রাজ্জাক মিয়াগং ভারত থেকে মদ ও কয়লা পাচাঁর করার সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৬৪বোতল মদ,৭মে.টন কয়লা ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা পশ্চিমপাড়া গ্রামের সোর্স আব্দুল হাকিম ভান্ডারীর বাড়ি থেকে ৭মে.টন কয়লা,লালঘাট গ্রামের সোর্স পরিচয়ধারী বিজিবি মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়ার বাড়ি থেকে ১বস্তা ভর্তি ২০০বোতল মদ ও চাঁদাবাজি মামলার জেলখাটা আসামী জিয়াউর রহমান জিয়ার দুধেরআউটা গ্রামের বাড়ি থেকে ইয়াবা আটক করলেও এখনও পর্যন্ত আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিজিবি ও পুলিশ। যার ফলে উপরের উল্লেখিত চোরাচালানীরা নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশ সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন কয়লার বস্তায় করে ও পাথরের ট্রলি দিয়ে অবাধে মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা ও অস্ত্র পাচাঁর করাসহ মোটর সাইকেল ও গরু পাচাঁর করছে। এবং পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল থেকে নামে-বেনামে লক্ষলক্ষ টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply