প্রচারণা শেষ, শঙ্কা ও ভয়ভীতি লেগে আছে
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আর মাত্র দুই দিন পর গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ উপ-নির্বাচন। আজ রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা। শেষ মহুত্বে প্রচার প্রচারণায় মরণ কামড় দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পাটির প্রার্থী, সমর্থক এবং নেতা-কর্মীরা। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে রাতের ঘুমকে হারাম করে প্রার্থীরা ছুটছে উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে । উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে । সাধারন ভোটারদের মাঝে ভোট নিয়ে বিরাজ করছে নানাবিধ শঙ্কা। সাধারন ভোটারদের অনেকের দাবি ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা, আবার অনেকে বলছেন বার বার ভোট দিয়ে কি হবে। একটি মহল দাবি করছেন প্রার্থী বিজয়ের ক্ষেত্রে জামায়াতের ভোট ব্যাংক একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। হরিপুর চরের সাধারন ভোটার ফয়জার রহমান বলেন বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কেউ বলছেন তারা একটি ভোট পেলে এমপি হবে । আবার কেউ বলছেন লাঠি নিয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ভোট যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে। তিনি আরও বলেন বর্তমানে ইরি-বোরো নিড়ানি, আলু ,সরিষা উঠানোর মৌসুম । যার কারনে কৃষকরা অত্যন্ত ব্যস্ত। সে কারনে ভোটারের উপস্থিতি একেবারে কম হতে পারে।
সাধারন ভোটারদের এসব মন্তব্যকে সামনে রেখে লাঙল মার্কার প্রার্থী ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন , ভোটাররা এখন অনেকটা সজাগ হয়েছে । পাশাপাশি নেতা-কর্মীরা অতিতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা মাঠে কাজ করছে। ভোট সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে তিনি অনেকটা আশাবাদি। শামীম তার বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।
নৌকা মার্কার প্রার্থী আফরুজা বারীর পক্ষে তার প্রতিনিধি মাহবুব সরকার বলেন ভোট সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত তারা আশাবাদি। তিনি বলেন ভোটারদের মাঝে নৌকার জোয়ার উঠছে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নেীকা অবশ্যই জয়লাভ করবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হবে এত কোন সন্দেহ নাই । ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। রিটানিং অফিসার ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান সাধারন ভোটারদের মাঝে এসব কল্পনা মাত্র। ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে । তিনি বলেন ইতিমধ্যে নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
নির্বাচনের কাজে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৫০জন কর্মকতা। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ১০৯টি ভোট কেন্দ্রের ৬৪৭টি বুথের বিপরীতে ১০৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৪৭ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার এবং ১ হাজার ২৯৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ১৩ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলায় মোট ভোট সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৪ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬২২ জন।
২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। যার কারণে আসনটি শুন্য ঘোষনা করা হয়। সে মোতাবেক গত ৪ ফেব্রয়ারী নিবার্চন কমিশন উপ-নিবার্চনের তফশীল ঘোষণা করে।