বানভাসীদের মাঝে কেউতো আসেনা ঢাকায় বসে ফাকা আওয়াজ দেয়
চিকিৎসার নাম করে বিদেশে গিয়া কি করে আল্লাহ্-ই জানে
-কুড়িগ্রামে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি
সাইফুর রহমান শামীম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি বলেছেন, বানভাসীদের মাঝে কেউতো আসেনা। ঢাকায় বসে ফাকা আওয়াজ দেয়। চিকিৎসার নাম করে বিদেশে গিয়া কি করে আল্লাহ্-ই জানে। এই গুলি নিয়ে তো হয় না। তো আমাদের যে কাজ, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর যে নির্দেশনা উনি জনগণের পাশে দাড়াতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গসংগঠনসহ বিরোধীদলও সে মোতাবেক কাজ করছি। ওরা কেউ কোন জায়গায় উকিঁ মেরে দেখে নাই আমার এই বানভাসী মানুষ কিভাবে আছে। তারপরও অনুরোধ করবো আসেন মানুষের পাশে দাড়ান। যদি কোন অর্থ এবং ত্রান সামগ্রী প্রয়োজন হয় আমার মন্ত্রনালয়কে বলেন আমি দিব। তারপরেও আসেন। টাকা দিব, চাল দিব, টিন দিব। আপনারা আসেন মানুষের পাশে দাড়ান।
তিনি আরও বলেন, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মিটিংয়ে আমরা এনজিওদেরকে অনুরোধ করেছি এই বানভাসী মানুষেরা অনেক কষ্টে আছে। এই মুহুর্তে তারা যেন কোন সুদ বা ঋণের কিস্তি না নেয়। এই অবস্থায় তারা যেন একটি বছর অপেক্ষা করে এই অবস্থা দুর হলে তারা টাকা দিবেন। কোন রকম চাপ সৃষ্টি না করার জন্য, জোড় জবরদস্তি না করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। আমার বিশ্বাস তারা অনুরোধটা রাখবেন।
তিনি বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর যাদের হাতে কাজ থাকবে না ৪০ দিনের কর্মসূচীর মাধ্যমে আমরা তাদের কাজের ব্যবস্থা করবো। যে সব ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে গেছে টিন ও নগদ টাকা দিয়ে ঘর-বাড়ি মেরামত করে দেওয়া হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। তাকে ঘর করে দিতে হবে। কোন লোক না খেয়ে মারা যাবে না। তাকে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা উত্তর বঙ্গের বন্যা কবলিত সাতটি জেলা পরিদর্শন করে যা প্রয়োজন তা করা হবে। এসব মানুষের জন্য যা প্রয়োজন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী তার চেয়ে বেশি দিতে বলেছেন।
মন্ত্রী সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের চর শাখাহাতিতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরনকালে এসব কথা বলেন। ত্রান হিসেবে ১ হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, হাইজেনিক কীট ব্যাগ ও বিশুদ্ধ পানির জেরিকেন বিতরন করেন।
এসময় স্থানীয় এমপি রুহুল আমিন, মন্ত্রনালয়ের সচিব শাহ কামাল, মহাপরিচালক মো: রিয়াজ আহম্মদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: জাফর আলী, জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মো: ফেরদৌস খান, চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী বীর বিক্রমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রান বিতরন করেন।