সড়ক দখল ও মনগড়া চেকপোষ্ট স্থাপন লামায় কোয়ান্টম গুরুজির আগ্রাসন
লামা সংবাদদাতা : ২৪ অক্টোবর
লামায় কোয়ান্টম লিডার শহীদ আল বোখারীর ভূমি দস্যুতা, সরকারি সড়কে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আরো একটি অভিযোগ হয়েছে। এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত একটি সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে জনযাতায়তে নিয়ন্ত্রণ, সড়কের উপর রাতারাতি জোরপূর্বক ঘর নির্মাণসহ নানান দূর্বৃত্তপনা আচরণের সিরিজ অভিযোগ হচ্ছে, গুরুজির কোয়ান্টমের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগিরা একের পর এক মামলা, সরকারি দপ্তর সমুহে অভিযোগ করে থামাতে পারছেন না মহাজাতকের অপ্রতিরোধ্য ভ‚মিগ্রাসী তৎপরতা (!)।
সর্বশেষ অভিযোগে প্রকাশ, ২ অক্টোবর রাতে গুরুজির লেলিয়ে দেয়া বাহিনী এলজিইডির নির্মাণাধীন হাসান আবদুল কাইয়ুম সড়কের উপর টিনসেট ঘর নির্মাণ করে। একই সাথে সড়কে ঠান্ডাঝিরি সেতু পয়েন্টে বাঁশকল বসিয়ে চেকপোষ্ট স্থাপন করে জনচলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ফলে সরকারের বিভিন্ন মহল সরজমিন পর্যবেক্ষণ করে, সড়কটি উম্মোক্ত করে দেয়ার কথা বলা হলেও! কানে নিচ্ছেন কোয়ান্টম দখলদাররা। কোয়ান্টম কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সড়কটি দখলে নেয়ায়, জনসাধারনের পাশাপাশি সেখানকার বাগান উদ্যোক্তরাও যাতায়াতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে জানান, বাংলাদেশ রাবার মালিক সমিতির সভাপতি লায়ন মো: কামাল উদ্দিন ও মহাসচিব কাউছার জামানসহ অন্যান্য রাবার বাগান মালিকরা।
পাশবর্তী বাগান মালিকগন ও স্থানীয়রা কোয়ান্টমের লোকদের কাছে সড়ক প্রতিবন্ধকতার হেতু জানতে চাইলে, ওই সময় ৭০/৮০ জন কোয়ান্টম লাঠিয়াল বাহিনী তেড়ে আসে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। কোয়ান্টমের ভ‚মিগ্রাসী, দুর্বৃত্তপনা, মিথ্যা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অভিযোগে আরো বলা হয়, “ কোয়ান্টম তাদের অভ্যান্তরে সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য চারদিকে গেইট ও চেকপোষ্ট বসিয়েছে“ (!)।
২২ অক্টোবর সরই ইউনিয়ন পরিষদ ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আশরাফ আলী স্বাক্ষরিত এক অভিযোগে এসব তথ্য জানাযায়। ওয়ার্ড সদস্য তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন,“কোয়ান্টমের অন্যায়, জুলুম, সরকার ও জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর ফলে, বিবাদীরা আমার পরিববার পরিজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করে হয়রানীসহ, জমি ও সৃজিত বাগানাদি জবর দখল করে উচ্ছেদ করার হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান, পুলিশ ক্যাম্পকে জানানো হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা দ্রুত নজরে না আনলে ওই এলাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে বলে আশংখা করেছেন স্থানীয়রা।